অপরাধএক্সক্লুসিভঢাকাদুর্নীতিবাংলাদেশ

ধামরাই ভূমি অফিসে ঘুষ কেলেঙ্কারি: অভিযুক্ত নাজিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি, প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

আমির হামজা: ঢাকার ধামরাই উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত নাজির মো. মঞ্জুর আহমেদের বিরুদ্ধে ভিপি (অর্পিত) সম্পত্তি নিয়ে গুরুতর দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জাতীয় দৈনিকে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রমাণিত হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত নাজির মঞ্জুর আহমেদ বর্তমানে তার পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নাজির মঞ্জুর আহমেদ ভিপি শাখার দায়িত্বে থাকাকালে সানোড়া মৌজার এসএ খতিয়ান নং ৪৩১-এর অন্তর্গত ৩০ শতাংশ জমির প্রকৃত ভোগদখলকারী ছিলেন কৃষক হোসেন আলী (ভিপি কেস নং ১৫৩/৭৯)। কিন্তু মঞ্জুর আহমেদ গোপনে তালিকা থেকে হোসেন আলীর নাম বাদ দিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে উক্ত জমি থেকে ১৫ শতাংশের বিপরীতে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ) প্রদান করেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এই ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনাটি ধামরাইয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিদওয়ান আহমেদ রাফির নিকট প্রমাণিত হয়। তবে, অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি অভিযুক্ত নাজিরের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তাকে বাঁচানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন।

শুধু তাই নয়, নাজির মঞ্জুর আহমেদ জিহাদ নামের এক স্থানীয় দালালের মাধ্যমে অফিসে বসেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারি ও খারিজের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। তার এ সকল কর্মকাণ্ডে ভূমি অফিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

ভূমি অফিসের মতো একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত চক্রকে নেপথ্যে থেকে কারা संरक्षण দিচ্ছে, তা এখন ধামরাইবাসীর প্রধান প্রশ্ন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button