ভাষানচরে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষ: যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল: বরিশালের কাজিরহাট থানার ভাষানচর দফাদারহাট এলাকায় পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এক সংঘর্ষে শিমুল নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার বিকেলে ঘটা এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত খোকন মাতুব্বর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাওনা টাকা চাইতে গেলে খোকন মাতুব্বর, সুজন এবং তাদের সহযোগীরা শিমুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র (ডেগার) দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়, এতে তার গলা ও হাতে গুরুতর জখম হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত শিমুলের সঙ্গী হালিম অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শুধু আমাদের পাওনা টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু খোকন মাতুব্বর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।”
একাধিক অভিযোগের তীর খোকন মাতুব্বরের দিকে
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, খোকন মাতুব্বর (পিতা: মোতাহার মাতুব্বর) ও তার সহযোগী সুজন (পিতা: শাহজাহান) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে। খোকন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের ছবি ব্যবহার করে পোস্টার-ফেস্টুন ছাপিয়ে এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা আমির আকনের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ উঠেছে:
- এক নারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা।
- এলাকায় ছেলে-মেয়েদের একসাথে দেখলে তাদের আটকে রেখে অর্থ আদায় করা।
- সরকারি স্কুলের জায়গা দখল করে ব্যক্তিগত দোকানঘর নির্মাণ করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, খোকন মাতুব্বরের জুলুম, নির্যাতন ও চাঁদাবাজিতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
ভাষানচর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে এবং অভিযুক্ত খোকন মাতুব্বরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।



