ইসলাম ধর্ম

আত্মপরিচয়ের সংকট: হাদিসের আয়নায় মুসলিম বিশ্বের বর্তমান চিত্র

ইসলামিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই বিলিয়ন মুসলিমের বসবাস। সংখ্যার বিচারে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর প্রভাব ও প্রতিপত্তি কেন এত সীমিত? কেন তারা আজ ঐক্য ও শক্তির অভাবে দুর্বল? এই গভীর সংকটের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে আমাদের ফিরে তাকাতে হয় প্রায় চৌদ্দশ বছর আগে ইসলামের নবি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর বর্ণিত এক ভবিষ্যদ্বাণীর দিকে।

কেয়ামতের অন্যতম একটি নিদর্শন হিসেবে তিনি যে চিত্র অঙ্কন করেছিলেন, তা আজকের বাস্তবতার সঙ্গে আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়। প্রখ্যাত হাদিসগ্রন্থ আবু দাউদে (হাদিস: ৪২৯৭) বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

“অচিরেই বিভিন্ন জাতি তোমাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হবে, যেভাবে ভোজনকারীরা খাবারের পাত্রের চারপাশে একত্রিত হয়।”

উপস্থিত সাহাবিদের মধ্যে একজন জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! এর কারণ কি এই হবে যে, আমরা সংখ্যায় কম থাকব?”

তিনি (ﷺ) উত্তর দিলেন:
“না, বরং তোমরা সেদিন সংখ্যায় অনেক হবে। কিন্তু তোমরা হবে বন্যার পানির ওপর ভেসে থাকা ফেনার মতো মূল্যহীন। আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন এবং তোমাদের অন্তরে ‘ওয়াহান’ নিক্ষেপ করবেন।”

তখন একজন সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! ‘ওয়াহান’ কী?”
তিনি (ﷺ) বললেন:
“দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।”

এই হাদিসটি বর্তমান মুসলিম বিশ্বের অবস্থার এক সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। মুসলিমদের অন্তরে দুনিয়ার প্রতি আসক্তি ও পরকালের প্রতি উদাসীনতা তাদের সম্মিলিত শক্তিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ফলে সংখ্যাধিক্য থাকা সত্ত্বেও তারা আজ শক্তিহীন ও বিচ্ছিন্ন।

তবে এই হতাশাজনক চিত্রের বিপরীতে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা যুগান্তকারী সমাধান ও আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেন:
“তোমরা হীনবল হয়ো না এবং চিন্তিত হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও।”
— (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৯)

সুতরাং, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলিম উম্মাহর উত্তরণের পথ হলো আত্মজিজ্ঞাসা ও সংশোধনের মাধ্যমে কুরআন ও সুন্নাহর মূল শিক্ষার দি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button