
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী রেহেনা আরজুমান গত ৩০ সেপ্টেম্বর (২০২৫) সিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী মো. রাশেদুল করিমকে রাজনৈতিক মামলায় অহেতুক আসামি বানিয়ে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হয়রানি করছে বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিন, এসআই মো. শাহ জালাল চৌধুরী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল আলম।পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থেকে মামলা অভিযোগে বলা হয়, পারিবারিক সম্পত্তি ও ভাড়াঘর দখলের উদ্দেশ্যে এলাকায় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত মো. মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন রাশেদুল করিমের ব্যবসায়িক ক্ষতি করে। এ ঘটনায় রাশেদুল করিম গত ১১ ফেব্রুয়ারি (২০২৫) বন্দর থানায় মামলা নং ০৪(০২)২০২৫ দায়ের করেন।তবে মামলার পর আসামিপক্ষ থানার কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে নেয় বলে অভিযোগ করেন রেহেনা আরজুমান। এর ধারাবাহিকতায় আসামিদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে উল্টো তার স্বামীকেই হয়রানি করা হয়।রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর অভিযোগকারিণীর দাবি, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকা সত্ত্বেও তার স্বামীকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর (২০২৫) এসআই মো. শাহ জালালের দায়েরকৃত বন্দর থানার ১২(৯)২০২৫ নং রাজনৈতিক মামলায় ৪৮ নম্বর আসামি করা হয়। এতে তার স্বামীকে হয়রানি করার ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।গ্রেপ্তার ও ফরওয়ার্ডিংয়ে অসত্য তথ্যরেহেনা আরজুমানের অভিযোগ অনুযায়ী, ২২ সেপ্টেম্বর (২০২৫) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হালিশহর থানাধীন বড়পুল মোড়ের আবেদীন ফার্মেসির সামনে থেকে এসআই ফয়সাল আলম তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেন। কিন্তু আদালতে প্রেরণের সময় ফরওয়ার্ডিং রিপোর্টে দেখানো হয়, রাশেদুল করিমকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে বন্দর থানাধীন ভেন্ডার চৌধুরী পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এই অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য পরিবর্তনের বিষয়েও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকি, হালিশহর থেকে গ্রেপ্তারের ভিডিও ফুটেজ স্থানীয়দের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলেও দাবি করেন অভিযোগকারিণী।কমিশনারের হস্তক্ষেপ দাবিরেহেনা আরজুমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বামীর দায়ের করা মামলার আসামিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় তাদের পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার কার্যালয় থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।



