দেশবাংলাদেশসম্পাদকীয়

নীলফামারীতে চাঞ্চল্য: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চার সন্তানের জননী, অভিযুক্ত পলাতক

মো. রউফুল আলম, রংপুর: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে কথিত প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন চার সন্তানের এক জননী। উপজেলার গাবরোল টগরারডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত সাদেক মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাবরোল টগরারডাঙ্গা গ্রামের জয়নুদ্দির ছেলে সাদেক মিয়ার সাথে একই গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ উঠেছে, গত রাতে সাদেক তার বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে ওই নারীকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনেন। বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা সাদেকের বাড়িতে হানা দেন এবং দুজনকে একত্রে আপত্তিকর পরিস্থিতিতে দেখতে পান। এসময় সাদেকের পরিবারের সদস্যরা তাকে কৌশলে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।

ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, সাদেকের সাথে তার সম্পর্ক প্রায় চার বছরের। বিয়ের প্রলোভন এবং তার সন্তানদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে সাদেক একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, “গত রাতেও সে আমার সন্তানদের ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে আমাকে তার বাড়িতে আসতে বাধ্য করে।”

ওই নারী আরও দাবি করেন, সাদেকের কারণেই তার পূর্বের স্বামী হযরত আলীর সাথে সংসার ভেঙে গেছে। এখন সাদেকের পরিবার তাকে মেনে না নেওয়ায় তিনি স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত আমি এই বাড়ি থেকে এক পা-ও নড়ব না।”

এদিকে, অভিযুক্ত সাদেিকের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে দাবি করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, তারা সকালে প্রতিবেশীদের মুখে ঘটনাটি শুনেছেন এবং এর বেশি কিছু জানেন না।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, তাদের দুজনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পুরোনো। এ নিয়ে এর আগেও পারিবারিকভাবে বৈঠক হয় এবং ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি মীমাংসা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button