চট্টগ্রামদুর্ঘটনাদেশপ্রশাসনবাংলাদেশসংগৃহীত সংবাদসম্পাদকীয়

গতিই দুর্ঘটনার প্রধান ঝুঁকি: চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা কর্মশালায় ট্রাফিক পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক: “সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে শুধু আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়, এর সাথে সড়ক প্রকৌশল (ইঞ্জিনিয়ারিং) উন্নত করার পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে শিক্ষার (এডুকেশন) মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।”—চট্টগ্রামে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমনটাই মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার (বিপিএম)।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (BIGRS) প্রোগ্রামের আওতায় গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (GRSP) এই কর্মশালার আয়োজন করে।

দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে দুই ব্যাচে মোট ৭৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘রোড ক্র্যাশের ঝুঁকি গতি: একটি জাতীয় সংকট’ শীর্ষক একটি সেশন পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) জনাব নেসার উদ্দিন আহমদ, পিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিআরএসপি’র সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা মাইকেল ফিল্যান্ড ও পল সিমকক্স। তারা গতির ঝুঁকি, গতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতি পর্যবেক্ষণ এবং সড়কের চেকপয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলের জন্য ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই আইন বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাফিক সার্জেন্ট থেকে শুরু করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) নিষ্কৃতি চাকমা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ান উৎসব, এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন এবং কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান। সিএমপি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জিআরএসপি’র আওতায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রায় ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button