বন বিভাগে রাজনৈতিক প্রভাব: অভিযোগের কাঠগড়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এই কর্মকর্তারা পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বন বিভাগকে অনেকটা জিম্মি করে রেখেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আত্মীয়-স্বজনদের অবৈধভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করিয়ে বন বিভাগের কার্যক্রমে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি, তারা বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করে ধানমন্ডিতে একটি জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন:
- আবু সুফিয়ান: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রের শ্যালক। বর্তমানে রাঙামাটিতে কর্মরত।
- সাদেকুর রহমান: সাবেক মন্ত্রী পলকের শ্যালক। কক্সবাজারে কর্মরত।
- আনিসুল ইসলাম: ইসমাইল সম্রাটের শ্যালক। চট্টগ্রামে কর্মরত।
- হামিদ: চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের চাচাতো ভগ্নিপতি। রাঙামাটিতে কর্মরত।
- মামুন: সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের ভাগিনা।
- খন্দকার মঞ্জু: সাবেক তথ্যমন্ত্রীর ভাতিজা।
- তামিল রসুল: মায়ানমারের সাথে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। রাঙামাটিতে কর্মরত।
- রতন লাল মহত: কক্সবাজারে কর্মরত।
অভিযোগকারীরা বলছেন, এই কর্মকর্তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছেন এবং বন বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছেন। তাদের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে বন বিভাগের সম্পদ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। বিশেষ করে, কর্মস্থল ত্যাগ করে রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার বিষয়টি সরকারি চাকরির নীতিমালা পরিপন্থী বলে মনে করছেন অনেকে।
এই বিষয়ে বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অভিযোগ এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ওয়াকিবহাল মহল। এই ঘটনা বন বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।



