রায়পুরে যুবদল নেতা মামুন সর্দারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ: মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ভূমি দখল ও হুমকির মুখে জীবন!
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর ৯নং ওয়ার্ডের লেংড়া বাজার এলাকায় যুবদল নেতা মামুন সর্দারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে হুমকির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ফেসবুকে তার অপকর্মের তথ্য-প্রমাণসহ ভিডিও প্রকাশ করায় প্রতিবেদককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি রায়পুর থানা পুলিশের কাছে বিচার চেয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসী মামুন সর্দারের কবল থেকে পরিত্রাণ চেয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভিডিওতে উঠে আসা নির্যাতনের চিত্র:
অভিযোগকারী জানান, গত কিছুদিন আগে লেংড়া বাজার এলাকায় মামুন সর্দারের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভূমি দখল করতে যায়। সেই ঘটনার ভিডিওতে একজন নারীকে নির্যাতন এবং একজন হাফেজে কুরআনকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিতে দেখা যায়। এই ভিডিও এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ফেসবুকে প্রকাশ করার পর থেকেই অভিযোগকারীর ইনবক্সে হত্যার হুমকি আসছে।
মাদক সাম্রাজ্য ও অন্যান্য অপকর্ম:
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন সর্দার লেংড়া বাজার এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার ভাইয়ের হোটেলের রান্নাঘরে ইয়াবা মজুদ রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। রায়পুর থেকে পানপাড়া কলেজ রোড এবং চাঁদপুর রোডে বোয়াডার পর্যন্ত তার ইয়াবা ব্যবসা রমরমা। এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য সে তার বাড়ির আশপাশের কিছু টোকাইকে ব্যবহার করে।
মাদক ব্যবসার পাশাপাশি মামুন সর্দারের বিরুদ্ধে সুদ ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জমি জবরদখল এবং সালিশ বাণিজ্যের মতো হাজারো অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় জনগণ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বা সালিশে অংশ নিতে বিরাট অঙ্কের চাঁদা বা অর্থ দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসনের নীরবতা ও রাজনৈতিক প্রভাব:
অভিযোগকারী এবং এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, মামুন সর্দারের বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন কেন নীরব? তাদের ধারণা, বড় কোনো নেতার ছত্রছায়ায় থাকার কারণেই মামুন সর্দার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিএনপি হাইকমান্ডের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও দাবিসমূহ:
অভিযোগকারী তার নিজের এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি তার বা ভুক্তভোগী পরিবারের কোনো ক্ষতি হয়, তবে এর সম্পূর্ণ দায়ভার মামুন সর্দারের। মামুন এখনো সবাইকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, এই চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে দ্রুত আইনের হাতে তুলে দেওয়া হোক। অন্যথায় ইয়াবার কারণে যুবসমাজ ধ্বংস হবে এবং এলাকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। অভিযোগকারী রায়পুর থানা, লক্ষ্মীপুর পুলিশ অথবা সেনাবাহিনীর কাছে প্রাপ্ত হুমকির বিচার চেয়েছেন।



