অপরাধএক্সক্লুসিভঢাকাদুর্নীতিদেশপরিবেশবাংলাদেশ

ট্রেনের কনটেইনার ডিউটিতে অনিয়ম দুর্নীতি, পারসেন্টিজ পায় ঢাকা কমানড্যান্ট।

মোঃ জাকিরুল ইসলাম: সাম্প্রতিক রাজধানীর কমলাপুর-তেজগাঁও রেলস্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আর এনবি) স্টাফ মাসব্যাপী কনটেইনার ট্রেনে ডিউটিতে বুক করা হয়।পণ্য পরিবহনের জন্য এই মালবাহী কনটেইনার ট্রেন গুলো চলাচল করে । কাগজে কলমে কমলাপুর জেনারেল চৌকি থেকে কনটেইনার ট্রেনগুলোতে অনেক নিরাপত্তা বাহিনী সদস্য বুক থাকলেও বাস্তবে ডিউটিতে ২/১ জন যান বাকিরা অফিসে কিংবা যার যার বাড়িতেই অবস্থান করছেন মাসের পর মাস এমন অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করলে দেখা যাবে কতিপয় স্টাফ মাসের পর মাস ঘুরেফিরে এরাই কন্টেইনার লাইনে বুক থাকছেন।অর্থ দিয়ে অফিস মেনেজ করে কাগজে কলমে এরা লাইনেই আছেন কিন্তু বাস্তবে নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র বলছে,বিনিময়ে নিরাপত্তার কমলাপুর সিআই রেজুয়ান রহমান নিচ্ছেন মাসোহারা মোটাঅঙ্কের টাকা। পার্সেন্টিজ পাচ্ছেন সহকারী কমান্ডেন্ট ও কমানড্যান্ট ঢাকা। পোস্টিং হাবিলদার হাসমত আলী প্রতিদিন ঢাকা অফিসে সারামাসের টিএ বিলের কাজ করলেও হাসমতের নামে কন্টিনার ট্রেনে ডিউটি দেখানো হয়, হাসমত নিজেই তার নামে ও অফিসের অন্যদের নামে মাসে ২৫/৩০ দিন লাখ লাখ টাকার ভুয়া টিএ বিল বানাচ্ছেন। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর লোক বাড়িতে রাখা নতুন কিছু নয়। সূত্র বলছে,ডিউটিতে লোক কম থাকায় দরুন প্রায়ই ইর্য়াডে ট্রেনে রেল সম্পদ চুরি হচ্ছে। তবে মাসের পর মাস কিভাবে বাড়িতে থাকা সম্ভব?তদারকির দায়িত্বে যখন সরীষার ভিতর ভূত তখন সবই সম্ভব?বাহিনী কর্তৃপক্ষের সাথে হাসমতের কৌশলগত সম্পর্ক খুব ভালো থাকায় যুগযুগ ধরে ঢাকাতেই থাকছেন। বদলি বাণিজ্য দালালি আর অবৈধ টিএ বিল বানিয়ে সে টাকার পাহাড় গড়েছে।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন কোনো বিষয়ই নয়।সে মানুষকে বলে- আমার বিরুদ্ধে নিউজ করে কোন লাভ হবে না। এ ই সকল বিষয় নিয়ে কমলাপুরের কমানড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।কমলাপুর স্টেশনের ডিউটির দায়িত্বে আছে সিআই রেজুয়ানুর রহমান।তার অধীনস্তদের ডিউটির বিষয়ে অনিয়ম , দুর্নীতি তিনি স্বীকার করেননি। তার অধীনে মোট কত জন আর এনবি চাকরি করেন বা দৈনিক স্টেশনে কতজন চাকরি করেন বা দৈনিক কন্টেইনার ট্রেনে কতজন ডিউটি দেন, এমন প্রশ্নে তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। আর এনবি নিরাপত্তা বাহিনীর বাহিরের অফিসার কিংবা ডিআর এম কিংবা জি এম তার নিজস্ব লোক দিয়ে সরজমিনে তদন্ত করলে এর সব সত্যতা পাওয়া যাবে। এখন প্রশ্ন হলো রেলে এত অনিয়ম , দুর্নীতি কর্তৃপক্ষ কি আদৌ সঠিক তদন্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে? নাকি এভাবেই অর্থ আত্মসাৎএ সরকারের অর্থ লুটপাট করতে উৎসাহিত করে যাবে?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button