
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)-এর সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তা জনমনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গতকাল প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, যা নগর প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রভাবে আটটি প্রকল্পে অন্তত ৫৭৭ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, কাজ না করেই বিল পরিশোধ, যোগসাজশে প্রাক্কলিত দর বৃদ্ধি, পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যেই এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

সিটি করপোরেশন মূলত জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কাজ হলো নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এই কার্যক্রমগুলোর জন্য যে বিশাল বাজেট বরাদ্দ করা হয়, তা প্রত্যেক নাগরিকের কষ্টার্জিত আয়ের ফসল। যদি সেই অর্থ একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে আত্মসাৎ হয়, তবে তা জনআস্থার প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুনির্দিষ্ট আটটি প্রকল্পে ৫৭৭ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ডিএসসিসিতে একটি সুপরিকল্পিত দুর্নীতির চক্র সক্রিয় ছিল। এই ধরনের বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ প্রমাণ করে যে, সাধারণ নিয়মকানুন উপেক্ষা করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া এবং সরকারি তহবিল নয়ছয় করার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল। একজন সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এটাই প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।



