অপরাধআইন ও বিচারএক্সক্লুসিভচাঁদপুরেদেশপ্রশাসনবাংলাদেশ

যৌতুক-নির্যাতনে মিতু হত্যা মামলা: প্রধান আসামি স্বামী রাকিব গ্রেফতার, বাকিরা পলাতক

মো: রাজন পাটওয়ারী, জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মুখে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই সন্তানের জননী মিতু বেগমের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি স্বামী রাকিব হোসেনকে আটক করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিতুর মৃত্যু হয়। এরপর নিহত মিতুর বাবা দুলাল গাজী বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার ও পলাতক আসামি:

  • মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মিতুর স্বামী রাকিব হোসেনকে (২৫)। বাকি আসামিরা হলেন— শ্বশুর আহসান মাঝি ও শাশুড়ি হাসিনা বেগম
  • মিতুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই স্বামী রাকিব ও তার বাবা-মা গা-ঢাকা দেন।
  • তবে মামলার পরপরই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রধান আসামি রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে উত্তর হাঁসা গ্রামের আহসান মাঝির ছেলে।
  • মিতুর শ্বশুর আহসান মাঝি ও শাশুড়ি হাসিনা বেগম এখনো পলাতক রয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গৃহবধূ মিতুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা প্ররোচনার মামলায় প্রধান আসামি স্বামী রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মামলার অপর দুই আসামিকে (শ্বশুর ও শাশুড়ি) গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে মিতু ও রাকিবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রাকিব মিতুকে নির্যাতন করত। সম্প্রতি রাকিব দুই লাখ টাকা বা একটি অটোরিকশা দাবি করে। তা না দেওয়ায় গত ১৬ অক্টোবর মিতুকে মারধর করে রাকিব নিজেই কেরোসিন এনে দিয়ে ‘আগুন দিয়ে মরতে’ প্ররোচনা দেয়। এমনকি মিতু মৃত্যুর আগে পরিবারের কাছে অভিযোগ করেন যে, রাকিব নিজেই তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী এক কন্যা ও মাত্র দুই মাসের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button