অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ঘুষ-দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও তার অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এমপিওভুক্তিকরণ ও উচ্চতর স্কেল প্রদানসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজের জন্য তিনি নিয়মিতভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন।
সাম্প্রতিক অভিযোগে জানা যায়, তিন দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণে খাবার, প্রশিক্ষণ সামগ্রী এবং ইন্টারনেট বিলের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করে প্রায় ১০ লাখ টাকার বেশি অর্থ তসরুপ করেছেন এই কর্মকর্তা।
অনৈতিক লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে জেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর কবির নিজের কক্ষসহ হিসাব রক্ষকের কক্ষের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছেন বলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবির তার অনিয়মের প্রতিবাদকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে থাকেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্যতার কথা বলে তিনি দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাটানো এই কর্মকর্তা বর্তমানে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাপট দেখান। ফলে ভয়ে অনেকেই নীরব থাকলেও, কিছু কর্মচারী সাহস করে তার অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন।
সম্প্রতি এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর পরপরই অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে জেলা শিক্ষা অফিসার কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মুচলেকা রেখেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর বদলি হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় সাত বছর ধরে তিনি একই কর্মস্থলে বহাল আছেন। অন্যদিকে, তিনি কর্মচারীদের বদলির ভয় দেখিয়ে থাকেন।



