
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের দোসর এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত সুবিধাভোগী এপিপি শাহানা সুলতানা ও তার স্বামী (ঘোড়াশাল উপজেলা যুবলিগের সাধারণ সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন) মনোয়ারুল ইসলাম নাসিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্ব জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই শাহানা সুলতানা
তৎকালীন ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দাপট দেখিয়ে এলাকার নিরহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, অত্যাচার ও নির্যাতন করেন বলে এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান। শাহানা সুলতানা-বৈষম্য বিরোধী ছাত্রের গণঅভ্যুত্থানের তোদের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে, বিএনপির নিবেদিত একজন কর্মী বনে যায়, তার হাসবেন্ড মনোয়ারুল ইসলাম নাসিমও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলেন।
এলাকার ভুক্তভোগী প্রবাসী মো: মাকছুদুল ইসলাম (নাঈম) অভিযোগ করে বলেন, শাহানা সুলতানা ও তার স্বামী মনোয়ারুল ইসলাম নাসিম আমার জমি দখল করে অত্যাচার নির্যাতন আসছেন।
তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে
স্থানীয় থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বরাবরে আইনি সহায়তা ও বিচার চেয়ে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোন সঠিক বিচার পাইনি।
ভূমিদস্যু মামলাবাজ শাহানা সুলতানা ১৬/১০/২১ ইং আনুমান সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে (০১৮১৮-৬৬২৩৩৩) আমার “মা” বেগম রেহেনা ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭১১-৬৭৬৬৩৯) কল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার খারাপ মন্তব্য, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করলে গত ১৯/১০/২১ ইং পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং ১০৩২)। মো: মাকসুল ইসলাম নাঈম বলেন, পরবর্তীতে এর জের ধরে ২০/০৩/২২ ইং অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আমার সৎ ভাই মো: মনোয়ারুল ইসলাম নাছিমের নেতৃত্বে তাহার স্ত্রী শাহানা সুলতানা, সানোয়ার (সাবেক সহ- সভাপতি যুবদল), হেলাল উদ্দিন, আল-আমিন সহ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী সহ আওয়ামী লীগের মাস্তান ক্যাডার বাহিনী নিয়ে জমি দখল করতে আসলে, আমরা বাধা দিলে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করেন। এ সময়ে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে, জমি দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা। আমার সৎ ভাই মো: মনোয়ারুল ইসলান (নাসিম) এবং তার স্ত্রী শাহানা সুলতানা গংরা এখনও ভুয়া দলিল দিয়ে জোরপূর্বক আমার সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আমাদের সাথে কাগজ-কলমে আইনিভাবে না পেরে ভূমিদস্যু নাসিম ও তাহার স্ত্রী শাহানা সুলতানা অহেতুক ভাষায় গালি গালাজ এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
গত ১৬/০৩/ ২৩ ইং মো: মাকসুদুল ইসলাম নাঈমের জমি দখল সংক্রান্ত হয়রানি প্রাণনাশের হুমকি এবং মানসিক নির্যাতন শিরোনামে পুলিশ মহা-পরিদর্শক বরাবরে একটি আবেদন করেন। সুলতানা, ঢাকা জজ কোর্টের এপিপি হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিরহ মজলুমদের উপর অন্যায় ও নির্যাতনের মাত্রা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন। ভুক্তভোগীরা বলেন, এই ভূমিদস্যু শাহানা সুলতানা, নারী সমাজের জন্য বিপদ জনক, তার আর কোন কাজ নেই, শুধু অসহায় মানুষের উপর মামলা করে জোরপূর্বক জমি দখল করা, জাল দলিল তৈরি করা তার জন্য কোন অপরাধই মনে হয় না।
ভুয়া দলিলের মাধ্যমে স্বপন চন্দ্র দাসকে বিক্রেতা সাজিয়ে তার থেকে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, মূলত এই জমি মূল মালিক মাকসুদুল ইসলাম নাঈম, রেজিস্ট্রি তথ্য (৫৩৬/২০১৮), উক্ত জমি সুলতানার দখলেই আছে। অপরদিকে সুলতানার ইন্দনে কিছু হয়রানি মামলার তথ্য দেওয়া হল- মামলা নং ৮৯৮/২৫ ইং) মোহাম্মদপুর থানা, (বাদী আবদুল মুন্নাফ), বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র গণহত্যা মামলার ৩৮৯, সিনথিয়া মারিয়া,৩৯১, লায়লা নাসিম, ও ৩৯২ নং মাসুদ আশ্রাফী, আসামী প্রবাসী, তারা ৫ বছরে বাংলাদেশে কখনো আসেনি। হাতিরঝিল থানায় আরো একটি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র গণহত্যার নামে ২০২৫ ইং মামলা করেন, (বাদী রবিউল ইসলাম খান শাহিন) মামলা নাম্বার জানা যায়নি। এখানে যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫৫, জায়েদুল কবির,১৫৬,দেলোয়ার হোসেন দিলু ও ১৫৭ নং মনোয়ার হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানা মামলা বাদী (জোবায়ের হোসেন- ২৯) ১০০ নং আসামি, দেলোয়ার হোসেন দিলু,১০১ নং -মনোয়ার হোসেন, নিরপরাধ ও নিরহ মানুষ বলে জানা যায়।
মাকসুদুল ইসলাম নাঈম বলেন, শাহানা সুলতানা আমাকে ভয় দেখাচ্ছে, আমি দেশে আসলে আমাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করবে। নাঈম আরো বলেন, গত ১৩/০১/২৫ ইং শাহানা সুলতানা ৩২৩/৩৭৯/৩৭৫/৪৬৭/৪৬৮/ ৪৭১/৫০৬ এই ধারাগুলো দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মামলায় দায়ের করেন। প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছেন, মিথ্যা মামলা দেওয়ার আসল কারণ উদ্দেশ্য সম্পত্তি আত্মসম্মত করা।
শাহানা সুলতানা এবং তার স্বামী মনোয়ারুল ইসলাম নাসিমের বিরুদ্ধে ৬/৬/২৩ ইং সালে পলাশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী নাঈম। জিডি নং (৩৩২), মাকসুদুল ইসলাম নাঈম- মনোয়ারুল ইসলাম নাসিম এবং তার স্ত্রী শাহানা সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, আমি একজন আমেরিকান প্রবাসী, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আমেরিকায় থাকি। আমার বাবা মৃত: ডা. নজরুল ইসলাম (৮৫), অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন, সেই সম্পত্তি নাসিম দেখাশুনা করতেন, আমি প্রবাস থেকে এসে সম্পত্তি বুঝিয়া নিতে চাইলে, আজ দিব-কাল দিব বলে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসতেছেন। গত ২৮/০৫/২০২৩ ইং সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় আমার সম্পত্তির ভাগ চাইলে, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
আমার জন্মস্থান ছেড়ে আমেরিকায় যেতে বলেন এবং আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করেন। এখন পর্যন্ত আমাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছেও আমি সঠিক বিচার পাইনি। তৎকালীন পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস (বিপি নং ৭৭০০০৫৩৫২৯) ও নরসিংদী সদর সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ (বিপি নং ৮৭১৪১৬৬৩১২) এবং জেসমিন বেগম-বিপি নং ৭০০১০৮১৮৮৫ (এডিশনাল ডিআইজি (এসসিএম অ্যান্ড এনআরবি অ্যাফেয়ার্স), তারা কেউই আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া সহ সঠিক বিচার করেননি।
নিরহ মজলুম মানুষকে বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার, মানহানি ও হয়রানির জন্য এপিপি শাহানা সুলতানা এবং স্বামী মনোয়ারুল ইসলাম নাসিমকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী জানান ভুক্তভোগী মাকসুদুল ইসলাম নাঈম। প্রবাসী নাঈম জানান আমি এবং আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি, নিরাপত্তা প্রয়োজন- যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে আমার “মা” বেগম রেহেনা ইসলাম, বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। আমি বাংলাদেশে যেয়ে আমার মাকে দেখতে চাই কিন্তু, এপিপি শাহানা সুলতানার মিথ্যা মামলার হুমকির জন্য আমি বাংলাদেশে যেতে পারছি না যা আমার এবং আমার মায়ের জন্য খুবই বেদনাদায়ক কষ্টকর ও ভাবার বিষয়।



