সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার: জান্নাতের সুসংবাদ ও ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ দোয়া

ইসলামিক বিচিত্রা ডেস্ক: ইসলামে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার (ইস্তেগফার) গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বিভিন্ন দোয়া থাকলেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি দোয়াকে ‘সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার’ বা ‘ইস্তেগফারের সর্দার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই দোয়াটি পাঠের মাধ্যমে কেবল গুনাহ মাফই হয় না, বরং জান্নাত লাভের মতো عظیم পুরস্কারের সুসংবাদও দেওয়া হয়েছে।
জান্নাত লাভের নিশ্চয়তা
সাইয়্যিদুল ইস্তেগফারের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো জান্নাত লাভের নিশ্চয়তা। এ বিষয়ে হাদিসে সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলায় এই দোয়াটি পাঠ করবে এবং সেই দিন সন্ধ্যার আগে মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতবাসী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এটি পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করবে, সে-ও জান্নাতবাসী হবে।”(সূত্র: সহীহ আল-বুখারী, হাদিস: ৬৩০৬)
এই হাদিসটি এই দোয়ার গুরুত্ব ও মর্যাদা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং মুমিনদের জন্য এটি একটি নিয়মিত আমলে পরিণত করার অনুপ্রেরণা জোগায়।
ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম রূপ
নবী করিম (ﷺ) স্বয়ং এই দোয়াটিকে ‘ক্ষমা প্রার্থনার প্রধান দোয়া’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, আল্লাহর কাছে তওবা ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য এর চেয়ে উত্তম কোনো দোয়া হতে পারে না। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে তওবা করে এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন বলে আশা করা যায়।
সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া)
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা,
খালাকতানি, ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা,
ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাতা‘তু, আ‘উজুবিকা মিন শাররি মা সানা‘তু,
আবুউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া,
ওয়া আবুউ বিযাম্বি, ফাগফিরলী,
ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আনতা।
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই দোয়াটি পাঠ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অন্যতম সেরা উপায়।



