
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কার্যালয়ে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) পদে অনিয়ম ও পদদখলের অভিযোগ উঠেছে। দপ্তরাদেশ বা প্রজ্ঞাপন ছাড়াই ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে এই দায়িত্ব পালন করছেন উচ্চমান সহকারী মাহবুব আলম।রেলওয়ের অনুমোদিত জনবল কাঠামো (জি.ও) অনুযায়ী, মহাব্যবস্থাপকের পিএ পদে নিয়োগের যোগ্যতা স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদধারীর হওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া সরকারি নিয়মে এ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য ন্যূনতম ১১তম গ্রেডের হতে হবে। কিন্তু মাহবুব আলম ১৩তম গ্রেডের কর্মচারী হয়েও এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।সূত্র জানায়, কোনো দপ্তরাদেশ ছাড়াই তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই পদে বহাল আছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এই পদে থেকে প্রশাসনিক নানা সুবিধা ভোগ করছেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আটকে রাখছেন। এছাড়া কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ থাকার নিয়ম না থাকলেও, অফিসার্স কলোনির ইকে-২৫ নম্বর সরকারি বাসায় তিনি বসবাস করছেন।অভিযোগের বিষয়ে মাহবুব আলম বলেন, লোকবল সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষ আমাকে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দিয়েছে। কোনো লিখিত দপ্তরাদেশ হয়নি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১১তম গ্রেডের কেউ নেই বলেই আমি কাজ করছি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সুবক্তগীন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাহবুব আলমকে ব্যাক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দপ্তরাদেশের কথা জানতে চাইলে ব্যাস্ততার অযুহাতে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক জানান, এটা নিয়ম বহির্ভূত, ১৩তম গ্রেডের ব্যাক্তি কখনো ১১তম গ্রেডের দায়িত্ব পালন করতে পারেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।



