
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বর্তমান ও সাবেক ১০ জন রাজস্ব কর্মকর্তা এবং ৫ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক জালিয়াতি, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কমিশন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত-১) আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান যে, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। একইসাথে, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশে তারা রাজস্ব ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের enorme আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তারা হলেন: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাসুদেব পাল, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, দিদারুন নবী, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রনি বড়ুয়া ও মো. আরিফুর রহমান, বর্তমান রাজস্ব কর্মকর্তা ফারহানা আকরাম, এবং বর্তমানে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট করপোরেট কার্যালয় রাজশাহীতে কর্মরত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও, এই মামলায় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন পাঁচজন ব্যবসায়ী। তারা হলেন: অন্তরা করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. মুশতাক খান, মেসার্স এ. অ্যান্ড জে. ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অংশীদার মো. আবদুল জলিল আকন ও মো. আলতাফ হোসেন, মেসার্স প্যান বেঙ্গল এজেন্সির মো. সেলিম, এবং জিআর ট্রেডিং করপোরেশন সিঅ্যান্ডএফ লিমিটেডের মো. আব্দুল রহিম।
দুদক জানিয়েছে, এই মামলার মাধ্যমে দুর্নীতি দমনে তাদের কঠোর অবস্থানের আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে দুদক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।



