জাতীয়দেশবাংলাদেশব্যাংক ও বীমা

জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিএবি) ১৩১ সদস্যের বেসরকারি ব্যাংক ইউনিটের কমিটি ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয়তাবাদী আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাসী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাজীবী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি)-এর বেসরকারি ব্যাংক ইউনিটের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে। দীর্ঘ প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়ার পর ১৩১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হলো।

সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম মাসুমকে সভাপতি এবং এসবিএসসি ব্যাংক পিএলসি’র কর্মকর্তা মিরাজ উদ্দীন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (সময় উল্লেখ না করে) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মতিঝিলের জেবিএবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন জেবিএবি কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইকবাল হোসেন এবং সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।

নবগঠিত কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন: ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদ আনসারী (সিনিয়র সহ-সভাপতি), ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা নেছার আহমেদ (সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আমিন মোল্লা (১ নং ভাইস প্রেসিডেন্ট)।

এর আগে গত মার্চ মাসে জেবিএবি’র ৬১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব পালন করছিল, যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখল। কমিটির পেছনে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাদের মধ্যে ওমর ফারুক অমি, মানিক এবং ওমর ফারুক (আইবিবিএল)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

নতুন কমিটি ঘোষণার ফলে দেশজুড়ে ব্যাংকিং খাতে নিয়োজিত জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে এক নতুন উৎসাহ ও আশার সঞ্চার হয়েছে। ব্যাংকাররা মনে করছেন, এই নতুন নেতৃত্ব তাদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন নবজাগরণ সৃষ্টি করবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেবিএবি কেবল একটি পেশাজীবী প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ একটি আদর্শিক শক্তি। ঐক্য, সততা ও দায়িত্বশীলতার ভিত্তিতে তারা ব্যাংকারদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, কর্মপরিবেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং সেবার মান বাড়াতে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

সভাপতি সাইফুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজ উদ্দীন চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে তাদের লক্ষ্য প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এমন একটি ব্যাংকিং কাঠামো চাই, যেখানে দলীয় প্রভাব, অনিয়ম বা অন্যায়ের কোনো স্থান থাকবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে পেশাদার, নৈতিক ও আদর্শিক ব্যাংকিং সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা।”

তারা আরও জানান, সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে সাথে নিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতকে আরও আধুনিক, কর্মীবান্ধব ও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সকল ব্যাংকারের দাবি, সমস্যা এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। জেবিএবির নতুন নেতৃত্ব আশা করছে, জাতীয়তাবাদী চেতনা, পেশাদারিত্ব ও জনসেবার সমন্বয়ে তারা ব্যাংকিং খাতে একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button