মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জমিজমার বিরোধের জেরে একাধিক মামলা।

সুমন হোসেন শাওন: মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ফুলহার গ্রামের একই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ সোলেমান ও জয়নাল আবদীন গংরা। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধ কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় সামান্যতম কিছু নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরবর্তীতে মোঃ সোলেমান বাদী হয়ে ২০২৩ সালে একটি দেঃ মোঃ মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নাম্বার ১৭৬/২০২৩। এর পর মহামান্য আদালতের আদেশের অপেক্ষায় কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে মাঝে মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এই সম্পর্কে সংবাদকর্মীগন জানতে চাইলে মোঃ জয়নাল গংরা বলেন, মোঃ সোলেমান আর আমরা একই বাড়িতে বসবাস করি। সোলেমান বিদেশে ছিলেন অনেক বছর তার পরিবার সহ আমরা বাড়িতে কোন ঝামেলা ছাড়াই বসবাস করে আসছি। সোলেমান দেশে আসার পর আমাদের সাথে জমিজমা বিরোধ চলায় সোলেমান ২০২৩ সালে আদালতে একটা মামলা করেন। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু সোলেমান সামান্য বিষয় নিয়ে আমাদের ৪টি পরিবারের মোট ১০ জনকে আসামি করে সি আর ৭৩৪/২৫ এবং রিটপিটিশন ৪৯১/২৫ মামলা করেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় গত ১১-১০-২৫ ঘটনার তারিখ উল্লেখ করে ওই সকল মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ০৯ নম্বর মোঃ ফাহাদ ও ১০ নম্বর ছাব্বির ঘটনার একমাস আগেই প্রবাসে অবস্থান করছেন। তাহলে এমন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির কোন মানেই হয়না। এবং ওই মামলায় সম্পর্কে আমাদের কিছু না বলে এবং মহামান্য আদালত কোন তদন্ত না করে বাদী সম্পুর্ণ ভাবে প্রভাবিত করে আমাদের বিরুদ্ধে সমন জারী করান।
আমরা সামান্য আয়ের মানুষ দৈনিক এর ইনকাম দিয়ে চলি। এই মামলায় গ্রেফতার এর ভয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছি না। এবং গ্রেফতার এড়াতে আবুল হোসেন, গফুর, জলিল, সাবিয়া বেগম, দেলোয়ারা বেগম, ফরিদা বেগম, ফাহিমসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কোথায় আমাদের খাওয়া দাওয়া, কোথায় আমাদের ইনকাম আমরা আপনাদের অনুসন্ধানে মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করবেন বলে আশা করছি।
এ সম্পর্কে মামলার বাদী সোলেমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনার দিন ১১-১০-২০২৫ তারিখ বিকেল ৪ ঘটিকার সময় আমার নিজ বাড়ির একতলা ছাদের উপরে ময়লা থাকায় পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে থাকি। ছাদের কিছু পানি জয়নাল গং দের রাস্তার উপরে পড়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে গালমন্দ শুরু করে এবং একপর্যায়ে তারা বেশ কয়েকজন মিলে তাদের বাড়ির সামনে এসে আমাদের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আমি তাদের গাল মন্দ সইতে না পেরে প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে, আমার বাবাকে, আমার ছেলেকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকলে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে মাননীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি আদালতের উপর শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলি আদালত যেই সিদ্ধান্ত দিবে আমি তাহা মানিয়ে চলবো।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত স্বাক্ষীদের বক্তব্য নিলে স্বাক্ষীদের মধ্যে ফয়সাল, আক্তার হোসেন ও কাউসার বলেন, আমরা জেনেছি সোলেমান মামলার স্বাক্ষী হিসেবে রেখেছেন, কিন্তু তাদের বাড়িতে ওই দিন যে ঘটনা ঘটেছে তা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না ওই দিন আমরা এলাকায়ও ছিলাম না।
এ সম্পর্কে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ওনাদের যেই ঝামেলা এই ঝামেলা এলাকায় সমাধান করতে পারতেন। সোলেমান বিদেশে ছিলো তাই টাকার ঘরমে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে গেছেন। জয়নাল গংরা গরীব অসহায় মানুষ এমন সময় তাদের এই হয়রানি শোভা পায় না আমরা চাই আপনাদের লেখুনির মাধ্যমে দুটো পরিবারের শান্তি শৃংখলা ফিরে আসুক।



