অপরাধএক্সক্লুসিভপরিবেশপ্রতারনাবাংলাদেশমিডিয়া

হজ ব্যবসার নামে প্রতারণা : মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

মো: মাসুদুন্নবী নুহু: হজ ব্যবসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন (ফতুল্লা-সদর থানা) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এবং লর্ড ট্রাভেলস এন্ড টুরস-এম এ এম ট্রাডিং ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান ডিজিটাল প্রতারক ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী ওরফে কাউসারের বিরুদ্ধে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ইসমাইল সিরাজী কিছু সংখ্যক আলেমদেরকে নিয়ে রাজধানীর ঢাকায় গড়ে তোলেন হজ ও ওমরা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের ভিসা প্রসেসিং এর ব্যবসা। তিনি শুরুতে সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার এবং নীতি নৈতিকতা ঠিক থাকলেও, যখন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকামের পথ খুলে যায়। তখনই ভুলে যান তিনি একজন আলেমেদ্বীন, বক্তা ও বৃহত্তর অরাজনৈতিক সংগঠন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন দায়িত্বশীলের কথা। তিনি প্রতারণা করে অন্যের টাকা আত্মসৎ করে ভোগ বিলাসিতায় শীর্ষে, অপরদিকে অফিসে একাধিক ম্যানেজার, ডজন কর্মচারী, শান শওকতে গাড়ি বাড়ি নিয়ে আরাম আইসে চলাফেরা, এ যেন একজন সেলিব্রিটি ক্ষমতাধর প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ইসমাইল সিরাজী নামে বেনামে প্রতারণা ও ক্যালাইনদের সাথে মিথ্যা প্রলোভন এবং অনৈতিক কার্যকলাপ প্রকাশ পেলে, তার সহযোগী ব্যবসায়িক পার্টনার মুফতি শাজাহান আল হাবিবি, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মর্তুজা কাসেমী, মুফতি খালেদ কাসেমী আযহারী, মুফতি আব্দুল আজিজ কাসেমী, মুফতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি মামুনুল হক আজহারী নিজেদের সম্মান নিয়ে সরে দাঁড়ান। (লর্ড ট্রাভেলস এজেন্সি লাইসেন্স নাম্বার-৩৮২/২৩), তবে কেউ কেউ বলছে এ লাইসেন্স ভুয়া, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বর্তমান হেড অফিস ২৪/অ ড. নওয়াব আলী টাওয়ার, ৫-ম তলা, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০। ডিজিটাল প্রতারক ইসমাইল সিরাজী ওরফে কাওসারের বিরুদ্ধে অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার অফিসে অসংখ্য আবেদন জমা হয়েছে, তার মধ্যে অসহায় মাজলুম প্রবাসী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার সাথে লর্ড ট্রাভেলস এর চেয়ারম্যান মুফতি ইসমাইল সিরাজির সাথে কানাডার ভিজিট ভিসার জন্য ১৬ লক্ষ টাকায় চুক্তিতে নগদ দুই লক্ষ স্ট্যাম্পে চুক্তি পত্র হয়ও কিন্তু কানাডায় আজকের পাঠাবে কালকের পাঠাবে বলে প্রায় ১০ মাস চলছে, তিনি আমার টাকাগুলিও ফেরত দিচ্ছে না এবং কানাডাও পাঠাচ্ছে না। আমি যার মাধ্যমে ইসমাইল সিরাজির সাথে কানাডায় (মাজহারুল ইসলাম) উনি আমার এলাকার মামা লাগে, মামা ইসমাইল সিরাজীকে ফোন দিলে ঢাকায় অফিসে আসার জন্য বলেন। গত বৃহস্পতিবার ১৬-১০-২০২৫ ইং আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় লর্ড ট্রাভেলস এর চেয়ারম্যান ইসমাইল সিরাজির সাথে পাওনা টাকার কথা বললে আমি এবং আমার মামা মাজহারুল ইসলামের উপরে অতর্কিতভাবে হামলা করেন। আমাদেরকে বেদারক মারধর ও নির্যাতন করলে আমরা অফিসের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ি, তখনও আমি একজন হার্টের রোগী ছিলাম, আমার হাডে ঋণ পরানো হয়েছে ওষুধ চলমান। অপরদিকে আমার মেয়ে শিশু মরিয়ম সাব্বির ঢাকার একটি মেডিকেলে অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। আমরা আকুতি মিনুতি হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেও আমাদেরকে মেরে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় যখন করেন এবং বলেন তুই মারা গেলে আমার আরো সুবিধা হবে, আমার টাকা দিতে হবে না, এ কথা বলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন (যার প্রমাণ তাদের অফিসিয়ালি সিসিটিভিতে বিদ্যমান রয়েছে)। নির্যাতিত ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান এবং মাজহারুল ইসলাম জানান, আমাদের দুজনকে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন, তখন আমি অসুস্থ হয়ে ওষুধ খেতে চাইলে আমাকে ওষুধ খেতে দেওয়া হয়নি, সেখান থেকে আমরা কোন মতে প্রাণ নিয়ে বেঁচে আসি, আমাদের সাথে অন্যান্য হজ্বের পার্টি গিয়েছিলেন, তারা আমাদের নির্যাতন দেখে ভয়তে অফিস থেকে পালিয়ে যানয়। আমরা কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রধান কার্যালয় গিয়ে, ডিজিটাল প্রতারক ইসমাইল সিরাজীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করি ও দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমেদ এবং যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সাহেবের কাছে বিস্তারিত খুলে বললেও আমরা এখন পর্যন্ত কোন তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার পাইনি। অপরদিকে ইসমাইল সিরাজী আমাদেরকে নির্যাতন ও অত্যাচার করে অদিনকার রাতেই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় জিডি করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু আমার বাচ্চা শিশু মরিয়ম সাব্বির ঢাকার একটি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে থাকার কারণে আমরা মেডিকেল এবং জিডি করতে পারিনি। তবে গত শনিবার ১৮-১০-২০২৫ ইং সন্ধ্যার পরে পল্টন থানায় জিডি করার জন্য গেলে আমরা শুনতে পাই আমাদের বিরুদ্ধে ইসমাইল সিরাজী জিডি করেছেন বিদায়, আমাদের জিডি পল্টন থানার কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি এবং আমাদেরকে তিন ঘন্টা বসিয়ে রেখে হয়রানি করেছেন পুলিশও অপরদিকে জিডির ভয় দেখিয়ে পল্টন থানায় আগত বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পল্টন থানা শাখার সভাপতি নামে সাংবাদিক নাসির সর্দার আহমেদ জোরপূর্বক আমাদের থেকে ২০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়ও (এ বিষয়ে জানতে, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খানকে পার্সোনাল কন্টাক্ট নাম্বারে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সর্দার নাসির আহমেদ ভুয়া সাংবাদিক ধান্দাবাজ এবং চাঁদাবাজ, ওর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং উনি আমাদের সংগঠনের কোন ব্যক্তি নয়)। আজিজুর রহমান বলেন, হতাশা আর নিরুপায় হয়ে থানা থেকে চলে আসি। পরবর্তীতে শরীরের অবনতি হলে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং আমার মামা মাজহারুল ইসলাম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চেকআপ সহ প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। এই আছার ব্যবহার যদি একজন ইসলামিক বক্তা আলেম ও ইসলামিক দলের দায়িত্বশীলের হয়, তাহলে একজন সাধারণ মানুষ কার থেকে জ্ঞানের শিক্ষা দীক্ষা নিবে, কেবল বিবেকবান মানুষদের প্রতি আমার প্রশ্ন। আমি তার দাড়ি টুপি লম্বা জুব্বা দেখেই বিশ্বাস করে আমার মামার মাধ্যমে তার সাথে কানাডা যাওয়ার চুক্তিবদ্ধ হই, কিন্তু তার ব্যবহারে বুঝতে পারলাম যে তিনি একজন আলেম সমাজের কলঙ্ক প্রতারক মিথ্যাবাদী ও ধান্দাবাজ প্রকৃতির লোক। মাজহারুল ইসলাম এর আরেকজন কেলাইন মো: কামরুল পাশা জুয়েল, মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী ওরফে কাওসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ভিডিও বার্তায় বলেন, গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ইং কানাডা যাওয়ার জন্য লর্ড ট্রাভেলস এর চেয়ারম্যান ইসমাইল সিরাজীর কাছে নগদ ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন, কিন্তু আমাকে কানাডার বিষয় দিচ্ছে না এবং আমার টাকাগুলিও ফেরত দিচ্ছে না, এবং আমাকে হুমকি প্রদান করে বলেন পারলে আমার থেকে টাকা উঠিয়ে নিস। অপরদিকে তার (ইসমাইল সিরাজী) সহযোগী ব্যবসায়িক পার্টনাররা লিখিত অভিযোগ করে বলেন, লর্ড ট্রাভেলস চেয়ারম্যান মুফতি ইসমাইল সিরাজী ওরফে কাউসার আমাদের হিসাব-নিকাশ ও বকেয়া লেনদেন পরিশোধ করার জন্য বারবার আবেদন করি, কিন্তু সে বিভিন্ন ছলচাতুরি করে আমাদের কমিশনের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা সরিয়ে বেড়াচ্ছেনও তাদের পাওনা টাকার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল-মুফতি শাজাহান আল হাবিবি (১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৩১ টাকা), মুফতি আব্দুল্লাহ আল মর্তুজা কাসেমী (৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩২০ টাকা), মুফতি খালেদ কাসেমী আযহারী (তার হিসাব পাওয়া যায়নি), মুফতি আব্দুল আজিজ কাসেমী (১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা), মুফতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ কাসেমী (১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা), মুফতি মামুনুল হক আজহারী (তার হিসাব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি)। একটি সূত্রে জানা যায়, তারা ৬ জন ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য, ইসমাইল সিরাজির বিরুদ্ধে যৌথভাবে, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির জেনারেল সেক্রেটারির বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেনও এমনকি জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত জেনারেল সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করিম আবরার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফির মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পাইনি বলে এমনটাই জানিয়েছেন সূত্রটিও বিষয়টি ইসলামী আন্দোলনের হাই কমান্ড জানার পরেও নেতারা নীরবতা ভূমিকা পালন করছেন। ডিজিটাল প্রতারক মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী ওরফে কাউসার এর বিরুদ্ধে সিলেট মৌলভী বাজারের মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি তার কাছে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা পাবো, তার বিরুদ্ধে ৩/৯/২০২৫ ইং সালে মামলা হয়েছে, মামলা নাম্বার ৬৫০/২৫ ইং, মামলা বর্তমানে চলমান আছে। নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের মাওলানা নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রতারকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা পাবো ৫ জন হাজী বাবদ। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রতারকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা পাবো, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার মো: রুহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রতারকের কাছে ৪ লক্ষ টাকা পাবো, মোহাম্মদ জমির উদ্দিন রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রতারকের কাছে ২১ লক্ষ টাকা পাবো (আমার কাছে জানামতে আরো পাঁচ সাত জন এরকম টাকা ভাবে প্রতারকের কাছে, প্রত্যেকের ডাটা আমি দেবো)। নোয়াখালী জেলার ফেনীর মাওলানা আব্দুর রহমান মোটা অংকের টাকা পাবেন, তবে ওনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার মো: রুহুল আমিন ৪ লক্ষ টাকা পাবে, মোহাম্মদ কামরুল পাশা জুয়েল ৩ লক্ষ টাকা পাবেন এবং মো: আজিজুর রহমান ২ লক্ষ টাকা পাবেন, এভাবে নির্যাতিত ভুক্তভোগী পাওনাদারদের তালিকা কেবলই বড় হচ্ছে। ডিজিটাল প্রতারক মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী ওরফে কাউসারের বিরুদ্ধে এভাবে অসংখ্য অভিযোগ অপরাধ বিচিত্রার অফিসে জমা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকের অভিযোগের আলোকে অপরাধ বিচিত্রায় সিরিজ নিউজ হবে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রার পাতায়। এদিকে ডিজিটাল এই প্রতারকের কূ-কৃতি ও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন প্রতারণার খবর তার নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের নির্বাচনীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে, তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে। খোদ রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা কর্মীদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু শর্তে নারায়ণগঞ্জের দলের নেতা ও দায়িত্বশীলরা তাদের প্রার্থী মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানীর করা সমালোচনা করে বলেন, একটি আদর্শিক ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতা বা সংসদ সদস্য প্রার্থীর যদি আচরণ এমন হয়, তাহলে একটি ইসলামিক দলের নেতার মূল্য থাকলো কোথায়?। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী প্রতারক চাঁদাবাজ ধান্দাবাজ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসৎকারী হতে পারেনা, যার ঈমান আমল আকিদা ও মুখের কথা ঠিক নেই, এমন কুচরিত্রহীন প্রার্থী আমরা চাই না। অপরদিকে তিনি একজন আলেম ও বক্তা, এখনই যদি একটি ইসলামিক দলের প্রার্থী দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে, তাহলে পরবর্তীতে নির্বাচনে জয়ী হলে তার দ্বারা কি হবে সেটা চিন্তা করলেই বুঝা যাবে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বেশ সু-নামের সাথে বাংলাদেশে একটি গ্রাহনযোগ্য ইসলামিক রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয়ভাবে পরিচিত লাভ করেছেন। সেই সংগঠনটি কোনরকম যাচাই বাছাই ছাড়া এরকমের একটা প্রতারক দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে কিভাবে মনোনয়ন দেয়! ভবিষ্যতে লাগামহীন এই সকল দুর্নীতিবাজ প্রার্থীর কারণে দল বিপথগামী হওয়া সময়ের ব্যাপার, তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকেই মূল্যায়ন করতে হবে। যেখানে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের নেতাকর্মীরা ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী ওরফে কাউসারের দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত আছে, সেখানে কিভাবে একটি প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজ ও প্রতারককে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের প্রার্থী হয়, অপরদিকে বৃহত্তর ওলামা সংগঠন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে এখনো বহাল তবিয়াতে কিভাবে থাকে, কেবল বিবেকবানদের কাছে প্রশ্নই থেকে যায়। এক সূত্রে নারায়ণগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন, এই প্রতারক দুর্নীতিবাজ প্রার্থী আমরা চাই না, অনতিবিলম্বে প্রার্থীকে বাতিল করতে হবে, আশা করি দলের আমির আমাদের ভাষা বুঝতে পারবেন এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী ঘোষণা করবেন। অপরদিকে ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পাশা জুয়েল সহ সকল ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের পাওনা টাকাগুলি সু-সম্মানে দিয়ে দিবেন, মুফতি ইসমাইল সিরাজী আল মাদানী কাওসারের প্রতি সর্বশেষ এই দাবি জানান, (ভুক্তভোগী-পাওনাদারদের মামলার প্রস্তুতি চলছে)।

অপারদিকে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস স্যারের এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করে বলেন, আমাদের ডকুমেন্টস আছে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আমরা সঠিক বিচার চাই। নিউজটি জনপ্রিয় চ্যানেল নকী টেলিভিশন এবং জাতীয় অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার মাল্টিমিডিয়ায় (ভিডিও) নিউজ হয়, ২৮ অক্টোবর-২০২৫ ইং।


চলমান-চোখ রাখুন আগামী পর্বের জন্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button