সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে সাবেক ডিসির জিডি, বিএসআরএফের উদ্বেগ

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে হয়রানির অভিযোগ, প্রত্যাহারের দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট: সংবাদ প্রকাশের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক নয়াদিগন্তের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শামছুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নেত্রকোনার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে কর্মরত বনানী বিশ্বাস।
গত ৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনা মডেল থানায় তিনি এই জিডিটি করেন। এদিকে, হয়রানিমূলক এই সাধারণ ডায়েরি করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এবং অবিলম্বে জিডি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সংগঠনের সভাপতি মাসউদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএসআরএফ নেতারা বলেন, শামছুল ইসলাম দেশের একটি স্বনামধন্য গণমাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। জিডিতে বনানী বিশ্বাস যে অভিযোগগুলো এনেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।
বিএসআরএফের দপ্তর সম্পাদক গৌতম চন্দ্র ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নেত্রকোনার ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে। সংগঠনটির অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে বনানী বিশ্বাস প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সাংবাদিক শামছুল ইসলামকে ভয় দেখানো এবং হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই জিডি করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংবাদ প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব এবং সেই দায়িত্ব পালনে যেকোনো ঘটনা তুলে ধরার অধিকার তাঁর রয়েছে। হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো সাংবাদিককে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা যাবে না।
বিএসআরএফ এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।



