
মুহাম্মদ জুবাইর: আজকের প্রজন্ম আগামি দিনের দেশ গড়ার কারিগর। তাদের হাত ধরেই আগামির বাংলাদেশ। সে-কারণেই তরুন প্রজন্ম যদি নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিয়ে সোচ্চার ও সচেতন না হয় তাহলে সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম জাতি পাওয়া যাবে না। কারণ একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলে একবার মরবেন, আর খাদ্যে ভেজাল ও মানহীন খাবার বিক্রি করলে তাকে ধুকে ধুকে মরতে হবে।
সারা জীবন অসুস্থতার গ্লানি নিয়ে ধীরে ধীরে মরতে হবে। সেকারনে খাদ্যে ভেজাল মানুষ হত্যা করার চেয়েও অনেক বড় অপরাধ। একই সাথে ঠুনকো অজুহাতে ও মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো, চিকিৎসা, গণপরিবহন সহ নানা সেবা সার্ভিসের দাম হাকানো রীতিমত স্বাভাবিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। ফলে সাধারন মানুষে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। এ-অবস্থার পরিত্রানে যুব সমাজকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের মতো আরও একটি গণঅভ্যত্থানের ডাক দিতে হবে।

১০ নভেম্বর ২০২৫ নগরীর সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনাতনে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ক জনসচেতনতামুলক প্রচারণা কর্মসুচি’তে বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন প্রদান করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার ফারহানুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকার নিয়ে উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ।
ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর ও ক্যাব বিভাগীয় সংগঠক রাসেল উদ্দীনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাবের কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ জানে আলম, সিভাসুর ফুড সাইন্স এর শিক্ষার্থী আরিফা খাতুন, যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের যুব গ্রুপের সদস্য আবরার করিম নেহাল, সিদরাতুল মুনতাহা, সালমান রশিদ অভি প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় আরও বলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন মুনাফার জন্য মরিয়া। যে-কোন ভাবেই অর্থ উপার্জনের নেশায় মত্ত। সেবকারণে একবার পেয়াঁজ, একবার কাঁচামরিচ, একবার আলু এভাবে প্রতিনিয়ত কোন না কোন পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে যাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনও এখানে বড় অসহায়। আবার বেসরকারী মোবাইল অপারেটর, গণপরিবহন, বেসরকারী ক্লিনিক, ডায়গস্টিক ও হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে কোন প্রতিবেদনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যায় না। তারা বিজ্ঞাপন অস্ত্র ব্যবহার করে গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখতে চান। আর এভাবে সাধারন মানুষের জীবন জীবিকাকে জিম্মি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন। আবার এই চক্রটি আবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদপ্রার্থী হয়ে জনদরদী সাজবেন আগামিতে।
বক্তার বলেন চট্টগ্রাম শহরের অনেক নামি-দাবি খাবারের রেস্তোরা, মিস্টির দোকান, বেকারীসহ নানা প্রতিষ্ঠানে যখনই ভোক্তা বা নিরাপদ খাদ্য অভিযান পরিচালনা করছে, তখনই নানা ধরণের ভয়াবহ অনিয়ম বের হয়ে আসছে। আর এভাবে প্রতিনিয়তই তাদের বিরুদ্ধে যখনই অভিযান পরিচালনা করা হয়, তখনই ভয়ংকর তথ্য বের হয়ে আসছে।



