
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী জাকির হোসেন রোড সংলগ্ন ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সামনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এস্কেলেটরযুক্ত ফুটওভার ব্রিজটি উদ্বোধনের দুই মাসের মধ্যেই অচল হয়ে যায়। বর্তমানে ব্রিজটির দুই পাশে তালা ঝুলছে। অরক্ষণাবেক্ষণের কারণে এস্কেলেটরের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ চুরি গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ব্রিজটি উদ্বোধন করে। রোগী ও পথচারীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় দুটি এস্কেলেটর বসানো হলেও এ বছরই মার্চের পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে করোনার অজুহাত দেওয়া হলেও পরে চসিক জানায়—ব্যবহারকারীর তুলনায় এস্কেলেটর চালাতে বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক বেশি হওয়ায় তা চালু রাখা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, বন্ধ এস্কেলেটরের দু’পাশে তালা ঝোলানো এবং পথচারীরা নিচ দিয়েই সহজে রাস্তা পার হচ্ছেন। রাতের বেলায় সেখানে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি দীর্ঘদিন অচল পড়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যন্ত্রাংশও চুরি হয়েছে।ডায়াবেটিক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, ‘এ এলাকায় মানুষের যাতায়াত কম। ফলে কেউ ব্রিজ ব্যবহার করে না। ফুড অভাব ব্রিজটি সংস্কার না করাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে।
নগর পরিকল্পনাবিদের মতে, প্রকল্পটি ছিল “অপ্রয়োজনীয়”। তাদের ভাষায়, ‘এ এলাকাটি কম জনবহুল হওয়ায় এস্কেলেটরযুক্ত ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ জনগণের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা বলেন, ‘ব্যবহার কম হওয়ায় বিদ্যুৎ বিলের অতিরিক্ত। তাই ব্রিজটি বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনে এটিকে নতুন স্থানে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ—চাহিদা যাচাই না করেই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল; রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন সম্পূর্ণ অকেজো।



