রাফায় হামাসের বিশাল সুড়ঙ্গ শনাক্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকার রাফায় হামাসের ব্যবহৃত একটি বিশাল ও সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক শনাক্ত করার দাবি করেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ২০১৪ সালের যুদ্ধে নিহত তাদের সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিনের মরদেহ এই সুড়ঙ্গেই সমাহিত করে রাখা হয়েছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে হামাস ওই সেনার দেহাবশেষ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার (গতকাল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত এক ভিডিওতে আইডিএফ এই সুড়ঙ্গটি প্রদর্শনের পাশাপাশি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
আইডিএফের দাবি অনুযায়ী, মাটির নিচে এই সুড়ঙ্গটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি। এটি প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫ মিটার গভীর। সুড়ঙ্গটির ভেতরে ৮০টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে। হামাসের কমান্ডাররা দীর্ঘ সময় আত্মগোপন, হামলার ছক কষা এবং অস্ত্র মজুত রাখার কাজে এই ঘাঁটি ব্যবহার করতেন।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনী উল্লেখ করেছে সুড়ঙ্গটির অবস্থান। তারা জানায়, ঘনবসতিপূর্ণ রাফা এলাকার জাতিসংঘ পরিচালিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির, একটি মসজিদ, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুলের নিচ দিয়ে এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ করা হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেই এমন নকশা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আইডিএফের।
এদিকে, পৃথক এক পোস্টে মারওয়ান আল-হামস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আইডিএফের দাবি, আল-হামস রাফার এই ‘হোয়াইট-ক্রাউনড’ সুড়ঙ্গ সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং লেফটেন্যান্ট গোল্ডিনকে যে সেখানে সমাহিত করে রাখা হয়েছিল, সে বিষয়েও তিনি জানতেন।



