অপরাধচট্টগ্রামপ্রতারনাপ্রশাসনমিডিয়া

ইপিজেডে একই মিটারে তিনবার বিদ্যুৎ চুরি: মানিষা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং ৩৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় একই ঠিকানায় থাকা মোঃ আলমের বিল্ডিংয়ের মিটার নম্বর ০১০২১১২৫১৩৯৫–এবং মিটারটি আলমের নামে ব্যাবহার কারি মোসামাদ মানিষা এই ব্যক্তির ধারাবাহিক ভাবে তিনবার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে । ব্যবহারকারী হিসেবে পরিচিত সবার কাছে মানিষা ওরফে মনি, পিতা মৃত মোঃ নজির আহমদ ও মাতা আলতাজ বেগম—তার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ চুরির একাধিক ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে।

২০২৩ সালে প্রথম অভিযোগ—আসে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, পরিশোধ করেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), হালিশহর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রথমবার মানিষার নামে যে মিটারটি ব্যাবহারিত আছে সেই মিটারে বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হলেও, নিকটস্থ এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে মাত্র ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মুচলেকা দিয়ে ঝামেলা মেটান।

একই বছরে দ্বিতীয়বার ধরা—জরিমানা ৩৫ হাজার টাকা কয়েক মাস পর পুনরায় আবার সেই একই ব্যক্তি মনিষা নতুন কৌশল খাটিয়ে ফের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অফিস কর্মকতার দের হাতে নাতে ধরা পড়েন মানিষা বেগম । দ্বিতীয়বারও তাকে নিয়মিত মামলা না করে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা পরিবারের সদস্য দের সামনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় মনিষা বেগম কে ।

২০২৫ সালে আবার ধরা পরেন —১ লাখ ০৮ হাজার ৬২৫ টাকার জরিমানা! চলতি বছর ২০২৫ সালে একই মিটারে আবারও চুরির প্রমাণ পাওয়া গেলে এইবার জরিমানা ধার্য করা হয় ১ লাখ ৮ হাজার ৬২০ টাকা। জরিমানা প্রথম ধাপে ফের পরিশোধ করে ৫০ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা গত কাল ২৫ নভেম্বর ছিল জরিমানা পরিশোধের শেষ দিন (৫৮,৬২৫ টাকা )—তবে এখনো পরিশোধ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, হালিশহর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলাউদ্দিন বলেন— > “আমি চাকরিতে যোগদানের পাঁচ কি ছয় মাসের মধ্যে এই মিটারের ঘটনাই প্রথম বড় অভিযোগ পেলাম । শুনেছি এর আগে দুইবার একই পরিবার থেকে মনিষা বেগম এর নামে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে জরিমানা কথা শুনেছি । এবার পুনরায় একই অভিযোগ পাওয়ায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে মিটারের সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করা হবে।”

এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী জানান—> “বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ অনুযায় একাধিকবার বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, (৩) বছরের কারাদণ্ড, এবং সমপরিমাণ অর্থদণ্ড ধার্য করার নিয়ম রয়েছে। চুরি প্রমাণ হলে মিটার খুলে নেওয়া বা সিলগালা করার নির্দেশও দেওয়া আছে নিতিমালায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button