নিজস্ব প্রতিবেদক: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ প্রকল্পে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তবিবুর রহমান তালুকদার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি বিশাল প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের তীর যখন তার দিকে, ঠিক তখনই তাকে আরও বড় একটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন এমন পদায়নে সংশ্লিষ্ট মহলে বিস্ময় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য তবিবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই অনিয়মের বিষয়ে যখন তদন্ত চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে ১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকার আরেকটি নতুন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি বড় বড় প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ পেতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন এই প্রকৌশলী। সম্প্রতি তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু অদৃশ্য এক প্রভাবশালী মহলের চাপে প্রকাশের মাত্র এক দিনের মধ্যেই পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ থেকে সংবাদটি সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের ল্যাট্রিন ও পানি সরবরাহের অর্থ আত্মসাতের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে তার নাম উঠে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সচেতন মহলের দাবি, যেহেতু তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলমান, তাই তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সব ধরনের সরকারি প্রকল্পের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা উচিত। দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি কীভাবে একের পর এক বড় প্রকল্পের দায়িত্ব পাচ্ছেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।



