
নিজস্ব প্রতিবেদক: বি–ইউনিটে বক্তব্য পেশ প্রধান বক্তা আহমদ উল্লাহ আলম চৌধুরী রাশেদের চট্টগ্রাম, ২৯ নভেম্বর ২০২৫: চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ–কে ঘিরে নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বি–ইউনিটে অনুষ্ঠিত হয় এক উঠান বৈঠক। এতে স্থানীয় বাসিন্দা, পেশাজীবী, তরুণ–বয়োজ্যেষ্ঠসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উঠান বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থানীয় নেতা আহমদ উল্লাহ আলম চৌধুরী রাশেদ। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট আয়োজন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং এলাকার সার্বিক সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের পথ খুঁজতে জনগণের মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, এলাকার জনদুর্ভোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নাগরিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, বাজারব্যবস্থাপনা ও তরুণদের কর্মসংস্থান–সংক্রান্ত নানা বিষয় জনগণ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছেন। “উঠান বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের প্রত্যাশা সরাসরি শোনা এবং এলাকার বাস্তব সমস্যাগুলো সামনে আনা,”—এ কথা উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় বক্তারা বলেন, নগরীর পুরোনো পাড়া–মহল্লায় জলাবদ্ধতা, রাস্তার দুরবস্থা, ড্রেনেজ জট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত ঘাটতি এবং সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্নগুলো দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পন্ন রয়েছে। স্থানীয় প্রবীণ ও তরুণ ভোটাররা এসব বিষয় তুলে ধরে বলেন, যে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন এবং নাগরিকসেবা নিশ্চিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
এদিকে উঠান বৈঠকে অংশ নেওয়া অনেকেই বলেন, নির্বাচনের সময় যেন অশান্তি, ভয়–ভীতি বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না তৈরি হয়—এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা সকল পক্ষের প্রতি সমান।
স্থানীয়দের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হলে বাসিন্দারা নানা বিষয় সামনে আনেন। বিশেষ করে—
রাস্তাঘাট সংস্কার
ড্রেনেজ উন্নয়ন
স্বাস্থ্যসেবায় দায়বদ্ধতা
নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতি
যুবসমাজের বিনোদন ও উন্নয়নমূলক সুযোগ —এসব প্রশ্ন প্রধান আলোচ্য হয়ে ওঠে।
আহমদ উল্লাহ আলম চৌধুরী রাশেদ বলেন, “নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, জনগণের মতামত ও প্রত্যাশার প্রকাশ। ভোটারদের প্রত্যেকটি বক্তব্য ও সমস্যা–উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, এলাকার সামগ্রিক চিত্র পরিবর্তনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার, আর তার ভিত্তি হলো ভোটারদের প্রকৃত চাহিদা।
উঠান বৈঠক শেষে স্থানীয়রা জানান, এমন মতবিনিময় সভা হলে এলাকার মানুষ সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পান, নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে সাহস পান এবং নির্বাচনকে ঘিরে স্বচ্ছতা বাড়ে।
আয়োজক পক্ষ জানায়, আগামী দিনগুলোতে ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লায় এ ধরনের আরও উঠান বৈঠক ও গণমত–সংগ্রহ কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।



