
নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একসময়ের সক্রিয় নেতা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এখন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সব সরকারের আমলেই ‘সুবিধাভোগী’ হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তা সম্প্রতি লবিংয়ের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে (জিএমপি) গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান তার কর্মজীবনের সিংহভাগ সময়ই কাটিয়েছেন ময়মনসিংহে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাকে ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর জেলায় বদলি করা হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, নিজের লবিং ক্ষমতা ও অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি কেবল পরিস্থিতি সামালই দেননি, বরং পদোন্নতিও বাগিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) লজিস্টিকস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হিসেবে কর্মরত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একাধিক সহকর্মী জানান, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এমন একজন কর্মকর্তা যিনি সব সরকারের আমলেই বিশেষ কায়দায় নিজেকে ‘ম্যানেজ’ করে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে একাধিক বাড়ি ও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তার সঙ্গে চাকরি করা একাধিক কর্মকর্তা জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন, তা প্রশ্নের দাবি রাখে। তারা এই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিরপেক্ষ তদন্ত ও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত হলেই তার বিত্তবৈভবের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে।



