
নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজেন্ট হাসপাতালের বহুল আলোচিত প্রতারক মো. সাহেদ এবং চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত টিটো রহমান আবারও অপরাধ জগতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে তারা নতুন করে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার চাঁদাবাজির ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রতারণা ও চাঁদাবাজির জগতে এই দুই ব্যক্তি আগে থেকেই বিতর্কিত। সুযোগ পেলেই নতুন নতুন প্রকল্প বা খাতের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। এবার মেঘনা গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের নাম জড়ানোয় জনমনে বিস্ময় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. সাহেদ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা এক বিতর্কিত চরিত্র। রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। অন্যদিকে, টিটো রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজির দীর্ঘ ও পুরনো ইতিহাস। দেশের সম্পদ লুটে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের যে অপকৌশল, এই দুই ব্যক্তি তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার অভাবেই সাহেদ বা টিটোর মতো অপরাধীরা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। তাদের পুনর্বাসিত হওয়ার এই প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও ভবিষ্যৎ কি তবে এভাবেই বিতর্কিতদের হাতে জিম্মি থাকবে?
মেঘনা গ্রুপের নাম জড়িয়ে ৬৫ কোটি টাকার এই বিশাল চাঁদাবাজির ছক উন্মোচিত হওয়ার পর দাবি উঠেছে, দ্রুত এই সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরার। অন্যথায়, অপরাধীদের এমন দাপট সমাজের জন্য অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়াবে।



