
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান আল্লাহ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বাউল শিল্পী আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সচেতন ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ। তাদের অভিযোগ, গানের নামে এই বাউল শিল্পী মহান রবের শানে সুস্পষ্ট বেয়াদবি করেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইসঙ্গে, যারা এই ধৃষ্টতার পক্ষে সাফাই গাইছেন, তাদেরও কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাউল আবুল সরকারের একটি বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়া ও ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদ ও সচেতন মহল পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬৫ ও ৬৬ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, “যদি তুমি তাদের জিজ্ঞেস কর, তারা অবশ্যই বলবে, ‘আমরা তো কেবল আলাপ-আলোচনা ও কৌতুক করছিলাম।’ বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করছিলে? অজুহাত পেশ করো না, তোমরা ঈমান আনার পর কুফরি করেছ।”
প্রতিবাদকারীরা বলেন, আবুল সরকার তার বক্তব্যে বা গানে আল্লাহকে নিয়ে যে ধরনের কটাক্ষ করেছেন, তা সুস্পষ্ট ঈমানহানি ও কুফরি। তিনি বাউল হন কিংবা যে কোনো পরিচয়ের অধিকারী হন, মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে আঘাত দিয়ে তিনি দেশে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা নৈরাজ্য (এনার্কি) তৈরির চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগকারীরা আরও বলেন, আবুল সরকারের এই অপকর্মের পক্ষে যারা অবস্থান নিচ্ছেন বা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন, তারা প্রকারান্তরে আল্লাহকে নিয়ে করা সেই কটাক্ষেরই পক্ষাবলম্বন করছেন। এরা ইসলামের শত্রু এবং ধর্মকে হেয় করার অপসংস্কৃতি চালু রাখতে চায়।
আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা বলেন, প্রশাসন তাকে আইনের আওতায় এনে প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করেছে। তবে এখন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাকে বিচারের মুখোমুখি করা থেকে বিরত রাখা বা বাঁচানোর যেকোনো চেষ্টা ইসলাম ও মুসলিমদের বিপক্ষে অবস্থান হিসেবে গণ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।



