আন্তর্জাতিকবিশ্ব

সুইজারল্যান্ডে কিমের গোপন জীবন নাম ছিল ‘পাক উন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বিশ্বজুড়ে তিনি এক কঠোর শাসক হিসেবে পরিচিত হলেও, ক্ষমতায় আসার আগে তাঁর জীবনের একটি অধ্যায় ছিল অত্যন্ত গোপনীয় ও রোমাঞ্চকর। সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে তিনি ছদ্মবেশে কাটিয়েছেন জীবনের তিনটি বছর, যা তার শৈশবের এক অজানা গল্প।

জানা যায়, সেই সময়ে তিনি নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে ‘পাক উন’ নাম ধারণ করে একটি সাধারণ পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করতেন। শিক্ষক কিংবা সহপাঠী—কেউই ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে, তাদের সঙ্গেই ক্লাস করা এই সাধারণ ছেলেটিই ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হবেন। সবার কাছে তার পরিচয় ছিল কোরিয়ান দূতাবাসের এক কূটনীতিকের সন্তান হিসেবে।

প্রবাস জীবনের শুরুর দিকে ভাষার ব্যবধানের কারণে কিম কিছুটা অন্তর্মুখী ছিলেন এবং কারো সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। তবে এই নিঃসঙ্গতা কাটাতে তার বেশি সময় লাগেনি। অল্প দিনেই বাস্কেটবল কোর্ট হয়ে ওঠে তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। বিখ্যাত বাস্কেটবল দল ‘শিকাগো বুলস’-এর জার্সি গায়ে কোর্টে তার দৌড়ঝাঁপ ও ক্রীড়ানৈপুণ্য তাকে সহপাঠীদের মাঝে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলে।

খেলাধুলার পাশাপাশি কিমের মধ্যে এক অদ্ভুত ও বিস্ময়কর প্রতিভাও লক্ষ্য করেছিলেন তার সহপাঠীরা। তার ভিজ্যুয়াল মেমোরি বা দৃশ্যমান স্মৃতিশক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। যেকোনো দৃশ্য বা বস্তু চোখের সামনে একবার দেখার পর, পরবর্তীতে তিনি স্মৃতি থেকেই তা হুবহু কাগজে এঁকে ফেলতে পারতেন। কিশোর বয়সের সেই ‘পাক উন’-এর এই রহস্যময় প্রতিভার কথা আজও স্মরণ করেন তার তৎকালীন বন্ধুরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button