
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামের বদলির খবরে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘ দিন ধরে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্য, রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় এবং মামলার এজাহার বা ধারায় কারসাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ছিল।
স্থানীয় ভুক্তভোগী ও আইনজীবীদের অভিযোগ, ওসি মাইনুল ইসলাম থানার ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছিলেন। নিরীহ ব্যক্তিদের থানায় ডেকে এনে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। অভিযোগ রয়েছে, টাকা না দিলে প্রতিপক্ষ সাজিয়ে আদালতে চালান দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করেছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওসির বদলি নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অনেকেই তাকে জাজিরা থানার ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তার সময়কালে অর্জিত অবৈধ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, ওসির ক্ষমতার দাপটে এতদিন কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি।
একটি বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাজিরার পর ওসি মাইনুল ইসলাম ধনী প্রবাসী অধ্যুষিত নড়িয়া থানায় বদলি হওয়ার জন্য জোর তদবির চালিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তার বদলির আদেশে জাজিরাবাসী আশার আলো দেখছেন। তারা প্রত্যাশা করছেন, নতুন ওসির যোগদানের মাধ্যমে থানায় সেবার মান বাড়বে এবং সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “যারা লিখেছে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। আমি আরও এক সপ্তাহ এখানে থাকব।” এটুকু বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।



