ইসলাম ধর্মধর্ম ও জীবন

ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী নারীদের যে ১২টি কাজ থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়

ইসলামিক বিচিত্রা ডেস্ক: ইসলাম ধর্মে নারীদের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার্থে জীবনযাপনের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা একজন মুসলিম নারীর জন্য শোভনীয় নয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা হারাম বা নিষিদ্ধ। ধর্মীয় অনুশাসন ও হাদিসের আলোকে নারীদের বর্জনীয় এমন ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো:

১. স্বচ্ছ বা পাতলা পোশাক: এমন কোনো পাতলা শাড়ি বা জামা পরিধান করা নিষিদ্ধ, যা দিয়ে শরীরের চামড়া বা অভ্যন্তরীণ অংশ দৃশ্যমান হয়।

২. নেলপলিশের ব্যবহার: ওজু বা গোসলের ক্ষেত্রে পানি পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে এমন নেলপলিশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৩. নখ বড় রাখা: বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ করে হাতের নখ বড় রাখা ইসলামি স্বভাব-জাত (ফিতরাত) বিরোধী কাজ।

৪. গান-বাজনা ও নৃত্য: অশ্লীল গান-বাজনা শোনা এবং নাচানাচি করা ইসলামি শরিয়তে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

৫. পর্দা লঙ্ঘন: ইসলামি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে বেপর্দায় বা খোলামেলাভাবে চলাফেরা করা অনুচিত।

৬. উঁচু করে চুল বাঁধা: উটের কুঁজের মতো করে মাথার ওপর চুল ফুলিয়ে বা উঁচিয়ে বাঁধা হাদিসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৭. আঁটসাঁট পোশাক: এমন টাইট বা আঁটসাঁট জামাকাপড় পরা, যাতে শরীরের গঠন বা আকৃতি স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে, তা বর্জনীয়।

৮. ভ্রু প্লাক করা: সৌন্দর্যের দোহাই দিয়ে ভ্রু প্লাক করা বা ভ্রু উপড়ে ফেলা শরিয়তে নিষিদ্ধ বা লানতযোগ্য কাজ হিসেবে বিবেচিত।

৯. কপালে টিপ পরা: অন্য ধর্মের বা বিজাতীয় সংস্কৃতির সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় কপালে টিপ পরা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ রয়েছে।

১০. শব্দযুক্ত নূপুর: চলাচলের সময় ঝনঝন শব্দ হয় এমন নূপুর পরিধান করা, যা পরপুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

১১. সুগন্ধি ব্যবহার: পরপুরুষের সামনে বা জনসমাগমে যাওয়ার সময় কড়া পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করা।

১২. কৃত্রিম চুল সংযোজন: মাথায় নকল চুল বা আলগা চুল (উইগ) ব্যবহার করা প্রতারণার শামিল, তাই এটি বর্জনীয়।

আলেমদের মতে, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণের স্বার্থে মুসলিম নারীদের এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা জরুরি। আল্লাহ তায়ালা সকলকে সঠিক পথ প্রদর্শনের তৌফিক দান করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button