সন ১৯৪৭। বাংলা ভাষাভাষীর মানুষের জন্য এক অবিস্বরনীয় বছর যা সেই সময়ের পুর্ব বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অতীব প্রয়োজন ছিলো। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে দুইটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা হয়- ভারত এবং পাকিস্তান। বর্তমান বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের দুরত্ব বেশ অনেকটা হলেও আমাদের লম্বা স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য এমন একটা সিদ্ধান্ত ছিলো খুবই যুগপযোগী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন ‘উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ অনুষ্ঠানে জিন্নাহর বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে কার্জন হলে উপস্থিত ছাত্রদের একটি অংশ তখনই ‘নো-নো’ বলে প্রতিবাদ জানায়।
দেশ ভাগের পরবর্তীতে একটি রাজণৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রস্তাব অনুযায়ী দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।
সময়ের আবর্তনে এলো ৫২, বাংলা ভাষার মানুষরা আপন ভাষা, মুখের ভাষা ফিরে পেলো রক্তের বিনিময়ে।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ববঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে।মওলানা ভাসানী, একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক শাসনভার গ্রহণ করে।মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ৩০শে মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।
১৯৬৯ সালের শুরুতে পূর্ব-বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
পুলিশের গুলিতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাত্র আসাদুজ্জামান আসাদ মৃত্যুবরণ করেন। সহযোদ্ধারা আসাদের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে মিছিল করে। পরে শেরে বাংলা নগর ও মোহাম্মদপুরের সংযোগ স্থলে আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদগেট নামকরণ করা হয়।
তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম এবং শেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকলে ঘোষনা হয় কারফিউ।
কারফিউ ভেঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে আয়োজিত ছাত্র-জনতার বিশাল এক সমাবেশে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আসম আব্দুর রব ও ডাকসু নেতারা উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।
পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার শুরু হয়েছিল ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে। ওই রাতে হামলার সামরিক নাম ছিল অপারেশন সার্চলাইট। সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় শেখ মুজিবুর রহমানকে।
ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর সদর দফতর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, তেজগাঁও বিমানবন্দর, মোহম্মদপুর, রায়েরবাজার, আজিমপুর, জগন্নাথ হল ও ইকবাল হল (এখনকার সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
সন্ধ্যা ৭.৪০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান শেখ মুজিবুর রহমানের লিখিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। এর আগে দুপুর বেলাতেও তিনি সেটি পাকিস্তান রেডিওর চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে পাঠ করেছিলেন।
পরদিন ২৭শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে রাতের অধিবেশনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে লিখিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলো কিন্তু সে স্বাধীনতার স্বাধ ভোগের সাধ্য হল না এ জাতীর। আন্দোলন, স্বংগ্রাম, বিপ্লব, অভ্যুত্থান ও রক্ত যেনো আরো অনেকটা বাকি, তখনো বাকি অনেক জীবন দেওয়া এই ক্ষমতার লোভে জীবন পর্যন্ত নিয়ে নেয়ার ইতিহাস থেকে আমরা আজ ২০২৪ সনে এসেও বের হতে পারি নাই।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যেনো কোনো সৈরাচার ,পরিবারতন্ত্র ফিরে না আসতে পারে তার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে।
আমরা দেখেছি তত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় একটি স্বাধীন সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সৈরাচার আওয়ামীলিগ কিভাবে লগি-বৈঠা আন্দোলন করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় মোট ৪০ জনের মৃত্যুর খবর। অতঃপর অনেক আলোচনা সমালোচনা বিবেচনার পর ১/১১ সরকার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ২০০৮ এর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং সরকার গঠন করে। মহাজোটের সরকারের মোট আসন ছিলো ২৬৩ টি অন্য দিকে বিপুল ব্যাবধানে হেরে যাওয়া ৪ দলীয় জোটের মোট আসন ছিলো ৩৩ টি।
একক ক্ষমতার অধিকারী বনে যাওয়া আওয়ামীলীগ তার আসল রুপের প্রকাশ করে সেই সময়েই।
ভারতীয় এজেন্ডার পুর্নায়নে সৈরাচারকে ক্ষমতায় বসানোর যে নীল নকশা আকা হয়েছিলো তা পুর্ন সফলতা পায় আওয়ামীলীগ এর ২য় দফা অর্থাৎ ২০১৪ এর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে।
যে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসল ,ক্ষমতায় আসার পর সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খেলো এবং গনতন্ত্রের কবর দিয়ে বাকশাল এবং এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল।
বিরোধী দলের উপরে দমন, পিড়ন্, নির্যাতন ও নিপীড়ন করে গনতন্ত্রের কবরের চতুর্দিকে দেয়াল তুলে দিলো।
আইন বিভাগকে কার্যত অকার্যকর করে দিয়েছিলো পতিত সৈরাচার হাসিনা সরকার। তার আমলে বিচার বিভাগে বিচারের নামে হচ্ছিলো প্রহসন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের চর্চা, বিচার বিভাগ থাকার কথা ছিলো স্বাধীন কিন্তু সেই বিচার বিভাগের উপরে একক কর্তিত্ব ধরে রেখেছিলো সৈরাচার শেখ হাসিনা।
বাসন্তির জাল এ যুগে ফিরে না এলেও আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক সমঝোতা গিয়ে ঠেকেছিলো তলানিতে। সীমান্ত হত্যা, গুম, খুন, প্রশাসনের পরিচয়ে উঠিয়ে নেয়া, গায়েবি মামলা, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অত্যাচার, ট্যাগ দিয়ে মানুষ হত্যা, বাকস্বাধীনতার হরন, মানবাধিকার শুন্যতে পৌছা, সামাজিক নিরাপত্তার অভাববোধ এবং রাষ্টের কাছে একজন নাগরিকের সবচেয়ে বড় চাওয়া আত্বসন্মান বোধের অধিকার নষ্ট এবং সম্পুর্ন রুপে ধংস করেছিলো সৈরাচার আওয়ামীলীগ।
২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকান্ড, ২০১৩ সালে হেফাজত হত্যাকান্ড, এবং ২০২৪ এর জুলাই হত্যাকান্ড মানুষের মনে সবথেকে বেশি ঘৃনা সঞ্চার করেছে । এ ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম কোনো আলোচনা বা নোটিশ ছাড়াই এক রাতের মধ্যে বৃদ্ধি করার ফলেও জনমনে ক্ষোভ ছিলো, সীমাহীন দুর্নীতি, সচ্ছতার অভাব, ভোট বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সকলের কাছে থেকে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়ে শুধু মাত্র সশস্ত্র কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরস্ত্র আমলাদের কাধের উপরে নির্ভরশীল হয়ে দেশে একটি অরাজগতা মূলক দুর্নীতি পুর্ন সমাজ ব্যাবস্থা তৈরি করে যার রাষ্ট্র নামক সংগঠনের সাথে ছিলো না কোনো জনগনের সম্প্রিক্ততা।
১৮ সালে কোটা আন্দোলনের ব্যপকতা এবং জন মানুষের চাপের মুখে নাম মাত্র একটা পরিপত্র জারি করে হাসিনা সরকার।
২০১৮ তে জারি হওয়া পরিপত্রে বলা হয়,
“সরকার সকল সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭/০৩/১৯৯৭ তারিখের সম(বিধি-১) এস-৮/৯৫(অংশ-২)-৫৬(৫০০) নং স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি নিম্নরূপভাবে সংশোধন করিল:-
(ক) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হইবে; এবং
(খ) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হইল।
”
যা ছিলো সে সময় আন্দলোনকারিদের ঘরে বা ক্যাম্পাসে ফেরানোর একটা পায়তারা মাত্র।
উক্ত পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে অহিদুল ইসলামসহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।
২০২৪ সনের ০৫ জুন আদালত এই পরিপত্র অবৈধ ঘোষনা করে রায় দেন, ফুসে ওঠে ছাত্র সমাজ। যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তার জন্য এরকম একটি অনুপযোগী রায় দেওয়া সৈরাচারের দোষরদের পক্ষেই সম্ভব বলে মনে করেন নেটিজনরা।
বাঙলা ব্লকেড এর নামে আন্দোলোন শুরু হয় আসতে থাকে একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
একত্রিত জনগন দেখে সৈরাচার সরকার হাসিনা, ব্যাপক পরিমান অস্ত্রের ব্যাবহারের নির্দেশ দেয় এমনকি ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে চালানো হয় গনহত্যা।
মুজিববাদের নামে সৃষ্ট ধোয়াসা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের মালিকদের বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করে নাই সৈরাচার হাসিনা।
চালানো হয় গনগ্রেফতার, কারফিউ থেকে ১৪৪ ধারা সবই প্রয়োগ করা হয় ।
এর মধ্যে হাসিনা বেশ কয়েকবার আন্দোলনরতদের রাজাকার, রাজাকারের বাচ্চা বলে আত্বসন্মানে আঘাত করে, তবুও আন্দোলন বড় হচ্ছে কিছুতেই ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না সাধারণ মানুষকে, অনেক ছাত্রলীগের নেতারা সেচ্ছায় দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছেন, এমন অবস্থায় আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ৯ দফা।
সরকার ঘোষিত কথিত আগস্ট শোক দিবসকে প্রত্যাক্ষান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালোর পরিবর্তে লাল প্রোফাইল ছবির মাধ্যমে, আন্দোলনে সমর্থন জানাতে প্রোফাইল লাল করেন জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ, সাধারণ নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একটি বড় অংশ এমনকি সাবেক সেনাপ্রধানও।
অমানবিক ভাবে সারা বাংলাদেশে আন্দোলনকারীদের উপরে গুলি চালানো হয়, বিচ্ছিন্ন মিছিল আসতে থাকে শহীদ মিনারে , ছাত্র জনতার রক্তের দাগ ভুলতে না পেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্নয়ন আসিফ ঘোষনা দেন এক দফার।
শুরু হয় অসহযোগ আন্দলন বন্ধ থাকে ট্যাক্স ,ভ্যাট, রেমিটেন্স। সর্বাত্বক চেষ্টার পরেও ৪ তারিখেও আন্দোলন বাঞ্চালের সর্বাত্বক চেষ্টা চলতে থাকে।
৪ আগস্ট, মহাখালী ডিওএইচএসের রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে (রাওয়া ক্লাব) এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের ৪৮ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান এম নুর উদ্দিন খান, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, কায়সার ফজলুল কবির, জামিল ডি আহসান, রেজাকুল হায়দার, মুজাহিদ উদ্দিন এবং আবুল কালাম হুমায়ুন কবির।
সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া তার বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “যখন আক্রমণকারীরা গণ-অভ্যুত্থানের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ল, তখন সশস্ত্র বাহিনীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হলো। কখনো তাদের সামনে রেখে, কখনো পাশে দাঁড় করিয়ে, অন্য বাহিনীগুলো গণ-আন্দোলনের ওপর জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে। এই পরিস্থিতির দায় কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর ওপর বর্তানো উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী কখনোই সাধারণ জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি বা তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করেনি। “একটি রাজনৈতিক সংকটকে সামরিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,” উল্লেখ করে সাবেক সেনাপ্রধান এর তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন, “আমরা, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, এর দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এই বক্তব্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটে জড়ানো হলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহ্য রক্ষায় তারা সশস্ত্র বাহিনীকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
৪ তারিখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায় লং মার্চ ৬ তারিখে নয় ৫ তারিখেই যুক্তি যুক্ত হবে। ঘোষনা আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস।
বদলে যায় সকল হিসাব, পালটা আঘাত করা তো দূর মাত্র এক বেলার ঘোষনায় একটি সৈরাচারের পতন হয় এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি নতুন সূচনা হয়। যা ছিলো একটি মাহেন্দ্রক্ষন।
সৈরাচার আমলে বাংলাদেশের এই নতুন সুচনার স্বপ্ন চারন হয়েছিলো বার বার, কিন্তু ফ্যাসিজমের কড়াঘাত থেকে মুক্তি মিলেছে লম্বা সময় পরে।