মুহাম্মদ জুবাইর: ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ নির্মূল এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে মাঠ প্রশাসনকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এবং বিধিমালা-২০২৪ বাস্তবায়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ সেমিনারে এসব দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ভূমি অপরাধ দমনকে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, “মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী তদারকি এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমেই কেবল এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. হান্নান মিয়া। তিনি ডিজিটাল ভূমি সেবা, ভূমি রেকর্ডের আধুনিকায়ন এবং জবরদখল প্রতিরোধে আইনি কাঠামোর সঠিক প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “দ্রুত প্রতিকার ব্যবস্থা এবং দক্ষ জনবল তৈরিই হলো ভূমি অপরাধ কমানোর মূল চাবিকাঠি।”
সেমিনারে বক্তারা একমত পোষণ করেন যে, ভূমিসেবা সহজীকরণ এবং অপরাধ দমনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মাঠ প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তথ্যভিত্তিক তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের সুপারিশ করা হয়। সেমিনারে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



