
নিজস্ব প্রতিবেদক – সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সত্যকে তুলে ধরা দায়িত্বের চ্যালেঞ্জিং পেশা। তথ্য প্রমান ছাড়া মন গড়া গল্প বানিয়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে কারো বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করা সাংবাদিকতায় পড়েনা।এখানে অবশ্যই পক্ষ বিপক্ষের দুই পক্ষেরই মতামত লাগবে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এখন হাতে হাতে।যার ফলে সাংবাদিকতা একটি সহজলভ্য পেশা হিসেবে দাড়িয়েছে।কেউ মোবাইল সাংবাদিক, কেউ ইউটিউবের সাংবাদিক, কেউ ফেসবুক সাংবাদিক, কেউ নিবন্ধনবিহীন পোর্টাল পেইজের ভিউ সংগ্রহ সাংবাদিক, কেউ রাজনৈতিক ধমকের সাংবাদিক। চারপাশে সাংবাদিক আর সাংবাদিক।আর এসব যত্রতত্র সাংবাদিকতার পরিচয়ে আসল সাংবাদিকদের মান সম্মান নিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পরেছে।
সম্প্রতি সরজমিনে আগারগাঁওয়ের বন ভবনে গিয়ে দেখা যায়,এই দপ্তরটি জিম্মি করে রেখেছে হাতে গুনা দু একটা পত্রিকা। তাদের অনলাইনে ম্যাজিকের মতোন নিউজ উঠে আবার চোখের পলকে নিউজ উধাও হয়ে যায়।যখন যা ইচ্ছে তাই লিখে প্রকাশ করছে। আবার ইচ্ছে মত ডিলেট করে দিছে।
জনসাস্থ্য,শিক্ষাসহ দেশের অন্যন্য বহু অধিদপ্তরে একই রকম জিম্মি করে রেখেছে এসব হলুদ সাংবাদিকরা। এই হলুদ সাংবাদিকরা বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে চান। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভিন্ন গ্রুপ দখল করে প্রশাসন চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের কথা মতোন কাজ না করলেই গল্প বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
এই নিয়ে অপরাধ বিচিত্রার প্রবীণ সিনিয়র সাংবাদিক এবং সম্পাদক, বাংলাদেশ ভেজাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন যদি কেও মিথ্যে বানোয়াট নিউজ প্রকাশ করে তাহলে সেই পত্রিকায় প্রতিবাদ ছাপানোর জন্য প্রতিবাদ পাঠানো নিয়ম। প্রতিবাদ পাঠাবেন এবং গ্রহনকারীর স্বাক্ষর নিয়ে আসবেন বা মেইলে পাঠাবেন কপি সংগ্রহে রাখবেন। কিংবা অন্য পত্রিকায় প্রতিবাদ ছাপানো যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিউজ এবং প্রতিবাদ মিলিয়ে দেখবে সত্য এবং মিথ্যার ব্যাখা। তারপর প্রেস কাউন্সিল আছে সেখানেও মামলা করা যায়। আদালত এবং সাইবার আইন আছে সেখানেও যেতে পারেন। কোন টাকার বিনিময়ে সংবাদ উঠা নামা থেকে সরকারি চাকরিজীবি আধা সরকারি সকল সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের দৃরে থাকার আহবান জানান। হলুদ সাংবাদিকদের পরিহার করে সুস্থ স্বাভাবিক সাংবাদিকদের পরামর্শ গ্রহনের অনুরোধ জানান।



