যাত্রীবেশে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা পাচার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে র্যাবের অভিযানে দুই নারীসহ উদ্ধার ৩৮৯৫ পিস ইয়াবা

মুহাম্মদ জুবাইর: রেলপথকে নিরাপদ করিডর হিসেবে ব্যবহার করে মাদক পাচারের নতুন কৌশল আবারও ফাঁস হলো চট্টগ্রামে। যাত্রীবেশে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আসার সময় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে দুই নারী মাদক কারবারি।অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩৮৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধারসহ দুই নারী মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব ৭ চট্টগ্রাম।
র্যাব সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী যাত্রী সেজে ট্রেনযোগে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে ইয়াবা পাচার করছে। তথ্যটি যাচাই ও বিশ্লেষণের পর র্যাব ৭ চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে।
এরই অংশ হিসেবে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এলাকায় সন্দেহভাজন দুই নারী যাত্রীকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাদের তল্লাশি চালিয়ে সঙ্গে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে বিশেষ কৌশলে লুকানো দুটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো পোটলা উদ্ধার করা হয়।
পোটলাগুলো খুলে পাওয়া যায় মোট ৩৮৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে র্যাব।আটককৃত নারীরা হলেন সীমা বিশ্বাস বয়স ৩৩ স্বামী অভিজিৎ সরকার সাং গোপীনাথপুর এবং রুপালী খাতুন বয়স ২৮ স্বামী আল আমিন হোসেন সাং সংকোচখালী। উভয়ের থানা মাগুরা সদর জেলা মাগুরা।
র্যাব জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের হয়ে কাজ করছিল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে নারী ও যাত্রীবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
র্যাব কর্মকর্তারা আরও জানান রেলপথ ব্যবহার করে মাদক পাচার দিন দিন বাড়ছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ কারণে রেলস্টেশন এবং গণপরিবহনকেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব ৭ চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে জানানো হয় মাদক নির্মূলে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং মাদক কারবারি চক্রের মূল হোতা ও অর্থদাতাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
র্যাব ,সাধারণ জনগণকে মাদকবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে মাদক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হবে।



