ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে সর্বদা আমি প্রস্তুত : ফারহান লাবীব জিসান

হাবিব সরকার স্বাধীন: ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহান লাবীব জিসান বর্তমানে জনমতের প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে সর্বদায় আমি প্রস্তুত। এমন কিছু করে যেতে চাই মানুষের হৃদয় যেন গাথা থাকি। প্রতিটি মানুষ তার কর্মগুণে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে। অতএব যতদিন বেঁচে থাকব, মানুষের হৃদয়েই থাকতে চাই।”ঘুষ দুর্নীতি কারো সাথে কখনো আপোষ নয়।দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, মনে প্রানে কাজ করে যেতে চাই। সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—তারা বর্তমান সেবার মানে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। খারিজ ও নামজারি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় বহু গ্রাহক তার কাজের প্রশংসা করেছেন।এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল, ঢাকা—এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি সার্কেলের সার্বিক সেবা ও কার্যক্রমকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। অনুসন্ধান করতে গিয়ে চায়ের দোকানেও সাধারণ মানুষের মতামতে উঠে আসে একই কথা—ফারহান স্যারের উদ্যোগে ক্যান্টনমেন্ট ভূমি সেবায় এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।

সপ্তাহে পাঁচ দিন গণশুনানি, অনলাইনে সব কাগজপত্রের আপডেট, দ্রুততম সময়ে খারিজ ও নামজারি—এসব কার্যক্রমের ফলে দালালচক্র প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। কোনো হয়রানি ছাড়াই সেবা পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। যারা আগে দালালের সহায়তা ছাড়া কোনো কাজই করতে পারতেন না, এখন নিজেরাই ভূমি অফিসে গিয়ে সমস্যার কথা জানাতে পারছেন। সবচেয়ে আনন্দের বিষয়—সেবা গ্রহণকারীদের ভোগান্তি কমাতে প্রতিনিয়ত মাইকিং করে সবার নাম ডাকা হয়।
ভূমি অফিসের পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নেও চলছে এক সুপরিকল্পিত পরিবর্তন। এসব উদ্যোগ সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন ফারহান লাবীব জিসান।
রবিবার ভূমি অফিসে কথা হয় দক্ষিণ খানের বাসিন্দা আব্বাস মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, “ছয় বছর আগে একটি খারিজ নথি খুঁজতে চারদিন ঘুরেছি, পাইনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে সব সমস্যার কথা বলতেই সহকারী কমিশনার স্যার মনোযোগ দিয়ে শোনেন। সহকারী শাওনকে নির্দেশ দিলে তিনি আমার নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করেন এবং দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।”
একই অভিজ্ঞতা জানান আকলিমা। তিনি বলেন, “এখন নিশ্চিন্তে সেবা পাইতেছি। কোনো দালালের কাছে যেতে হয় না।”
খিলক্ষেতের বাসিন্দা রতন আলী বলেন, “আমারে একটা তারিখ দিছিলো, আজকে আইসা সব পাইলাম। বাড়তি টাকাও দিতে হয় নাই।”
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়—সহকারী কমিশনার ফারহান লাবীব জিসান অভিযোগ শুনতে অত্যন্ত মনোযোগী। কোনো কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে আবেদন বাতিল না করে সময় দেওয়া হয়। নকল কাগজপত্র পেতে হয় না কোনো বিড়ম্বনায়।
দালালমুক্ত সার্কেল নিশ্চিত করতে তিনি দৃঢ়ভাবে কাজ করছেন। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবাপ্রার্থীদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি।
কুড়িল বিশ্বরোডের বাসিন্দা আমেনা জানান, “১৭ মাস আগে এখানে এসেছিলাম। তখন এত দায়িত্বশীলতা দেখিনি। আজ এসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে সমস্যার সমাধান পেয়েছি।”
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়—সহকারী কমিশনার যোগদানের পর থেকেই অবৈধ বালু উত্তোলন, আবাদি জমির মাটি কাটাসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। সরকারি খাসজমি উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও পরিচালনা করেছেন একাধিক অভিযান।
সবার থেকে আলাদা ও মানবিক আচরণে তিনি ইতিমধ্যে সেবা গ্রহণকারী ও এলাকার মানুষের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তার নেতৃত্বে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করছেন।
দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের পর প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ফারহান লাবীব জিসান বলেন, “গ্রাহক তাদের ন্যায্য অধিকার অবশ্যই পাবে। যতদিন ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলের দায়িত্বে আছি, দেশ ও জাতির স্বার্থে সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব।”



