
মুহাম্মদ জুবাইর
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগের বিস্তার রোধে নগরজুড়ে কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সংস্থাটি। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে ১৮ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে ১৮ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিশেষ মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন চৌধুরী ইফতেখার উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে চসিক নিয়মিতভাবে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি আরও বলেন,শুধু সিটি করপোরেশনের একক প্রচেষ্টায় এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।এ জন্য নাগরিকদের সচেতনতা ও সম্মিলিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য। বাসাবাড়ির ছাদ, ফুলের টব,পরিত্যক্ত টায়ার, ড্রাম, পানির ট্যাংকসহ কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।এসব স্থান নিয়মিত পরিষ্কার ও পরিচর্যা করলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
ক্রাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, ড্রেন ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মশার লার্ভা ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একইসঙ্গে কীটনাশক প্রয়োগ, জমে থাকা পানি অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়। মশক নিয়ন্ত্রণ শাখার তত্ত্বাবধানে কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্ভাব্য লার্ভার উৎস চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়রের একান্ত সহকারী (পিএস) মারুফুল ইসলাম চৌধুরী (মারুফ)সংশ্লিষ্ট জোন কর্মকর্তা জাহেদউল্লা রাশেদ, আবু তাহের, চসিকের মশক নিয়ন্ত্রণ শাখার সুপারভাইজার ও কর্মচারীবৃন্দ। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ অন্যান্যরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা চসিকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নিয়মিত এ ধরনের ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হলে নগরীতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পর্যায়ক্রমে নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডেও সম্প্রসারণ করা হবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ামুক্ত সুস্থ নগর গড়ে তুলতে চসিক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।



