গাইবান্ধায় অবৈধভাবে পুকুর খনন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন ফসলি কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের দায়ে জমির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা শেরপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামশিদ ইরাম খান।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত কাজী হারুন অর রশিদ মামুন ওই এলাকার আবু কাজীর ছেলে। এর আগে একই এলাকায় তার মালিকানাধীন একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় গর্তে গড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কামারদহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তুলশিপাড়াসহ আশেপাশের এলাকার শত শত বিঘা জমিতে আটকে থাকা বৃষ্টির পানি বছরের পর বছর ধরে এই জমির উপর দিয়ে সড়কের মাঝামাঝি অবস্থিত সেতু দিয়ে অন্যপাশে প্রবাহিত হত। কিন্তু জমির মালিক সেতুর মুখে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুকুর খননের কাজ শুরু করেন। এতে আগামী বর্ষায় আশপাশের কয়েক শত বিঘা আবাদি জমি জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় পড়ে। অবৈধভাবে পুকুর খনন কালে এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
পরে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জমির মালিক কাজী হারুন অর রশিদ মামুনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসিল্যান্ড তামশিদ ইরাম খান বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতীত বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে ফসলি জমির মাটি খনন করার অভিযোগে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে কাজী হারুন আর রশিদ মামুনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ফোর্স হিসেবে সহায়তা করেন গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।



