ইসলাম ধর্মধর্ম ও জীবন

বিদায় হজের ভাষণ-বাংলা অনুবাদ

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্কঃ সময়: ১০ হিজরি,আরাফার দিন স্থান: আরাফার ময়দান,জাবালে রাহমা

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

১/ মানব জীবনের পবিত্রতা– “হে মানুষ! শোনো। তোমাদের রক্ত,তোমাদের সম্পদ,তোমাদের সম্মান-আজকের এই নের মতো, এই মাসের মতো, এই শহর (মক্কা)-এর মতোই পবিত্র। কেউ কারো ওপর জুলুম করো না।”

২/ জাহিলিয়াতের রীতি বাতিল– “জাহিলিয়াত যুগের সব রীতি আমি আমার পায়ের নিচে নষ্ট করে দিলাম। হিলিয়াতের সব সুদ (ঋণের বাড়তি অর্থ) রহিত করা হলো।”

৩/ নারীর অধিকার- “হে মানুষ! তোমাদের নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসেবে পেয়েছো। তোমাদেরও তাদের ওপর অধিকার আছে, আর তাদেরও তোমাদের ওপর অধিকার আছে। তোমরা তাদের প্রতি সদয় আচরণ করবে।”

৪/ আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরো- “আমি তোমাদের কাছে এমন একটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, এটি দৃঢ়ভাবে ধরলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না তা হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন)।”

৫/ মুসলমান মুসলমানের ভাই- “সমস্ত মুসলমান পরস্পরের ভাই। কারো সম্পদ তার স্বীকৃতি ছাড়া বৈধ নয়।
নিজের উপর জুলুম কোরো না।”

৬/ তাকওয়া ও আমানতের শিক্ষা- “যে কারো ওপর কোনো আমানত অর্পিত হবে-সে যেন তা আদায় করে দেয়।
কেউ যেন কারো ওপর অন্যায় না করে।”

৭/ সত্যবাদিতা ও সৎপথে অটলতা- “হে মানুষ! শয়তান তোমাদের দীন ধ্বংসে আর কখনো সফল হবে না। তবে ছোট ছোট কাজে সে তোমাদেরকে প্রলুব্ধ করতে পারে- সুতরাং তার থেকে সাবধান থাকো।”

৮/ বংশ-গৌরবের অহংকার বাতিল- “হে মানুষ! তোমাদের পালনকর্তা একজন, তোমাদের পিতা (আদম) একজন।
আরবের উপর অনারবের,অনারবের উপর আরবের,কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।

ধনী-গরিব,সাদা-কালো- একজন আরেকজনের চেয়ে উত্তম নয়। শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তাকওয়ায়।”

৯/ দায়িত্ব পৌঁছানোর নির্দেশ- “যারা উপস্থিত আছে,তারা যেন এ বাণী অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছে দেয়। হয়তো কোনো অনুপস্থিত ব্যক্তি শুনে তাকে উপস্থিত থেকেও ভালো বুঝবে।”

১০/ সাক্ষ্য স্থাপন- এরপর নবী ﷺ জিজ্ঞেস করলেন: “তোমরা কি সাক্ষ্য দাও যে আমি আল্লাহর বাণী পৌঁছে য়েছি?” সাহাবারা বললেন: “জি হ্যাঁ, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি!”

নবী ﷺ তিনবার বললেন- “হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button