গাইবান্ধা

তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশা, বিপর্যস্ত গাইবান্ধার জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জুবুথবু হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার জনপদ। কুয়াশার কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বছর পৌষের শুরু থেকেই সকালে রোদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রায়ই দিনই বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২ টার দিকে রোদ বের হলেও সেই রোদের তাপমাত্রা কমতে থাকে। আবার দুপুরের পর থেকেই আবহাওয়া শীতল হতে থাকে।

এদিকে গত কয়েকদিনের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে তাদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। বিশেষ করে দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার চরাঞ্চলগুলোতে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছেন ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি খেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা দিনদিন বেড়েই চলেছে।

গাইবান্ধা পৌর শহরের ডেভিডকোম্পানীপাড়া এলাকার হোটেল শ্রমিক বাবলু মিয়া (৪২) বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত থাকে কনকনে ঠান্ডা, দিনের বেলায়ও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নাই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না। সংসার তো চালা লাগবে। তাই বের হয়েছি।

কুপতলা ইউনিয়নের জেলা হাসপাতালে আসা রাজ্জাক মিয়া (৫0) বলেন, আমার সন্তানের কয়েক দিন থাকি জ্বর সর্দি লেগেছে গ্রামের ডাক্তারকে দেখে ওষুধ খাওয়াচ্ছি কিন্তু ভালো হয় না তাই হাসপাতালে এসেছি।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: তাহেরা আকতার মনি জানান, শীতে শিশু ও বয়স্কদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালি ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। কুয়াশায় কোনোভাবে শিশুদের বের করা ঠিক হবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button