আওয়ামী লীগের দোসর বহুরূপী নারী পায়েল আক্তার নুপুরের খুটির জোর কোথায়

স্টাফ রিপোর্টার: (সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি মতিঝিল থানায় জিডি)
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগের দোসর বহুরূপী (পরিচয় প্রদানকারী) নারী পায়েল আক্তার নুপুরের খুটির জোর কোথায়? এই নুপুর আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট সুবিধাভোগী নারী, দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে উশৃংখলভাবে জীবনযাপন ও চাঁদাবাজি করে আসছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন লীগের ক্যাডার বাহিনীর সহযোগিতায় লুটেপুটে খেয়েছেন ঢাকা সিটি জুড়ে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মুখে খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে, নুপুর- তার এই চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখতে কখনো সমাজসেবিকা, নারী উদ্যোক্তা, বিশিষ্ট বিজনেসম্যান, কখনো সাংবাদিক ও মানবাধিকার প্রেসিডেন্ট পরিচয় দেন, কখনো আবার সচিবালায় সামলান (অডিও কল রেকর্ড প্রমাণিত এবং তদন্তকারী পুলিশের এসআই সারোয়ারের কাছেও এমনটি বলেছেন নুপুর), কখনো জুলাই যোদ্ধাদের সংগঠন (এনসিপির) নেত্রী, কখনো (বিএনপির) নেত্রী, আবার কখনো ডেসটিনি কোম্পানির রাজনৈতিক সংগঠন (আম জনগণের) নেত্রী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি আর ক্ষমতা অটুট রেখেছেন।

(আম জনগণের) পক্ষে নিজ এলাকা, টাঙ্গাইল (মির্জাপুর-৭ আসন) থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং দল থেকে নাকি তাকে নমিনেশন দিছেন দাবি করেন এই প্রতারক বহুরূপী নারী পায়েল আক্তার নূপুর। এ বিষয়ে আম জনগণের সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পায়েল আক্তার নামে কাউকে নমিনেশন দেওয়া হয়নি, তিনি সিলেক্ট্রিক নন এবং তার কথা-দাবি অসত্য। স্বৈরাচারী সরকার থাকাকালীন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ১৪ আসনের অবৈধ সংসদ সদস্য, মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন, মূলত দলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীন নুপুরের ক্ষমতার মূল উৎস এই নিখিলই ছিল অন্যতম।

নিখিলের সাথে পায়েলের অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনো ভাসমান, এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেই ভুক্তভোগী ইউনুস মোল্লার কাছ থেকে ব্যবসার নামে পায়েল আক্তার নূপুর এবং তার পিতা সেলিম আহমেদ খান ৫৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তাদের নামে মামলাও হয়েছে, (সিআর) মামলা নং (২৬৮২/২৫ ইং) ধারাঃ ৪২০/৪০৬/৫০৬ দণ্ডবিধি, (১ নং আসামী তার বাবা মোঃ সেলিম আহমেদ খান, ২ নং আসামি পায়েল আক্তার নূপুর, ৩ নং আসামি তার হাজবেন্ড মোঃ সোহানুর রহমান সোহান এবং ৪ নং আসামি তার ছোট ভাই সানজিদুল ইসলাম জয়)। এরা যেখানেই স্বার্থ দেখেন সেখানেই হুমরি খেয়ে পড়েন, স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে লাথি মেরে চলে যায়।

নুপুর বৈবাহিক জীবনে বিবাহিতা হলেও ঘরের হরতা-কর্তা একমাত্র তিনিই, তার কমন ছাড়া স্বামী কোন কিছুই করতে পারেন না বলে তার ঘনিষ্ঠ ও এলাকাবাসী জানান, স্বামীকে সবসময়ই চাপের উপরে রাখেন। তবে ঘরের বাহিরে চিত্র ভিন্ন, পরপুরুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা, তাদের সাথে পরকীয়া সহ অবৈধ মেলামেশা করা, ঘন্টার পর ঘন্টা তাদেরকে সময় দেওয়া, এক কথায় একটা বাজারি নারী হিসেবে এলাকাবাসি আখ্যা দিয়েছেন।

আবার কেউ কেউ বলেন, নুপুর অপরাধ জগতের কিং, এবং আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশে বসে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব পালন করেন, বিনিময় সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে তার বিকাশ নাম্বারে লক্ষ লক্ষ টাকা আসে, তারা এটাও দাবি করেন যে, তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সকল কিছুই বেরিয়ে আসবে। অপরদিকে ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ায় তার টাইমলাইন (আইডি) ঘাটাঘাটি করলে এটাই প্রমাণিত হয়, তিনি যে একজন আওয়ামী লীগের দোসর সেটা বেরিয়ে আসে, তবে কিছু ডিলিট করলেও এখনো অনেক তথ্য বিদ্যমান আছে। আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রী নেতা খাতা, সকলের সাথে কোন না কোন এঙ্গেলে সেলফি তুলে, দেদারসে ফেসবুকে আপলোড করেন নুপুর, আওয়ামী যুবলীগের নেতা নিখিলের সাথে ছবি, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী রাসেলের সাথে ছবি।

বিএনপি’র নেতা (সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি) এবং ঢাকা ৭ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ এর সাথে ছবি, (এনসিপির) নেতা নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদের সাথেও ছবি, আম জনগণের নেতাদের সাথে ছবি-১৬ই ডিসেম্ব-২৫ শ্রদ্ধা বিনিময় করতে দেখা যায় ও ফেসবুকে বিদ্যমান আছে।

অর্থাৎ মানবাধিকার, সাংবাদিক, রাজনৈতিক অন্যান্য সংস্থা বা কোম্পানির নেতা সহ ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ, গাঞ্জাখোর, যারে যেখানে পায় সেখানেই তার সাথে একটি সেলফি তুলে ফেসবুকে প্রচার করে নিজেকে দাবি করেন- আমি একজন বিশিষ্ট নেত্রী, আমি অমুক দল করি, আমার ক্ষমতা এত এত, এইসব পরিচয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো, তার অন্যায় ও প্রতারণা টিকিয়ে রাখার কৌশল। তার ফেসবুকে ঢুকলেই বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার সম্বলিত ফটো কাট সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে ফটো কাট এবং ভিডিও দেখা যায় হরেক রকমের।

আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা সহ অঙ্গ সংগঠনের যত রকমের কাজ আছে নুপুর সেগুলি আনজাম দিয়ে থাকেন, কিন্তু তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সাপোর্টার বা কোন দায়িত্ব পালন করেননি। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন (বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট) ঢাকা- রুপনগর থানার প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তার পোস্টকৃত ফটো কাট এবং দলীয় কমিটির প্যাডে নাম আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট পরিচয় কামিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায় এই বহুরূপী নারী পায়েল আক্তারের বাবা সেলিম আহমেদ খান একজন হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য ছিলেন, দীর্ঘদিনের পরিচিতরা বলেন, সেই জিরো থেকে ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, ওপরের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে- হারাম টাকা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আজ তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন।

নুপুরও ঠিক বাবার থেকে খেলাফত নিয়ে বাবার শেখানো পথেই হাঁটছেন, বাপ-বেটি মিলে মানুষের থেকে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে এনে ব্যবসার নামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, নুপুরের কাছের লোকেরা জানান নুপুর এমন একটি মেয়ে যে নাকি অল্পের মাধ্যমে যেকোনো মানুষকে কথার জাদু দিয়ে ইনভাইট করতে পারেন। নুপুর দেখতে স্মার্ট পরিষ্কার সুন্দরী, সেটাই কাজে লাগিয়ে পুরুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন, তার কথা কাজে নেই কোন মিল, কথায় কথায় মিথ্যা কথা, মুহূর্তের ভিতর পোল্টিবাজি দিয়ে নিজের দোষ অন্যদের ঘাড়ের চাপিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে, রাবেয়া বসরিয়ায় বাঙালিয়া-সুফি সাহেব সাজেন।

গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারে থাকাকালীন তার দুর্নীতি হয়রানি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কোন লোক কথা বলতে সাহস পাইনি। এই নারী এত বড়ই ভয়ংকার যে কেবলমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না, অথচ তাকে দেখলে মনে হবে যে তিনি একজন সাধারণ মানুষ কিছুই জানে না, নরম ভদ্র সহজ সরল একটি নারী, কিন্তু তাকে যারা একবার দেখছেন তারাই বুঝবে যে তিনি আসলে কত ভয়ংকর একজন নারী। বাটপার, পতিতা ও চাঁদাবাজদের খোলস পাল্টাতে বেশি সময় লাগে না! তাদের অপকর্ম জারি রাখতে সব সরকার আমলেই তাদের ক্ষমতা অটুট রাখতে বহুরূপে রূপ ধারণ করতে হয়- তারই জলন্ত প্রমাণ নুপুর, যে দল আসুক না কেন চাটুকারিতা করার জন্য তাদের সাথেই সখ্যতা গড়ে তোলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারত পালানোর পরে কিছুদিনের জন্য ক্ষমতা হারিয়ে ফেললেও কলে কৌশলে দেশে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের চাটুকারি নেতাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে আবার পূর্ণরূপে ক্ষমতা অর্জন করেন। বহুরূপী এই বাজারি নারী পায়েল আক্তার নূপুর মিরপুর-১ (৮২- নং) দোকান, মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট এর তৃতীয় তলায় “বর কনে” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বেশ রমরমা ধুমধামে ব্যবসা চলছিল, কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর নুপুর ৩ থেকে ৪ মাস আত্মগোপনে ছিলেন।

পরবর্তীতে তার ব্যবসা-বাণিজ্য একদম বন্ধ হয়ে যায়, দোকান ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, কারণ ক্ষমতার বড়াই আর ধাপ্পাবাজি, চাঁদাবাজি কতদিন চলে? আসামি পায়েল আক্তার নুপুর- বাবা সেলিম আহমেদ খানের চাঁদাবাজি, প্রতারণা সহ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ নিয়ে, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক বরাবর ভুক্তভোগী হাজী ইউনুস মোল্লা।

একটি লিখিত অভিযোগ করেন। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য অভিযুক্তকারী পায়েল আক্তার নূপুরের পার্সোনাল কন্টাক্ট (০১৯৩৫০৫০০৫৪) নাম্বারে ফোন দিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে, সে নিজেকে বিশাল রাজনীতিবিদ, নারী নেত্রী, সাংবাদিক মানবাধিকার প্রেসিডেন্ট এবং বড় পাওয়ার ফুল ক্ষমতাধর দাবি করে বলেন, আপনি আমাকে চিনেন? আমি একজন মানবাধিকারের প্রেসিডেন্ট, আপনি কে? আপনাকে কেন আমার তথ্য দিতে হবে, এই কথা বলে সাংবাদিককে উল্টো ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।

তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, আপনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক এবং কোন সংগঠনের মানবাধিকার কর্মী? এই প্রশ্ন করার সাথে সাথে আরো আগুন বর্ষের মতন রেগে যায়, তখন কথার আওয়াজ ছিল সর্বোচ্চ হাই বাঁশের গলায়, প্রশ্নের অ্যানসার না দিয়ে উল্টো বলেন আপনাকে কেন বলতে হবে, কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে সাংবাদিককে হেনস্তা, তুইতাকারি ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি সহ দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন। এমত অবস্থায় সাংবাদিক তার পরিবার নিয়ে শংকিত আছেন, অপরাধচক্রের হোতা ও সন্ত্রাসী পায়েল আক্তার নূপুরের হুমকি দেওয়ার পরে আইনের নিরাপত্তার জন্য, মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, (জিডি নং ১৭২৯) তারিখঃ ২০/১২/২৫ ইং, এ বিষয়ে থানা থেকে পুলিশ ফোন দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন যে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পায়েল আক্তার নূপুরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি এত উচ্চস্বরে উচ্চবাচ্য কথা বলেন কোন খুঁটির জোরে? আনসার তিনি না করলেও পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে খুঁটির প্রমাণ মিলেছে। প্রথম খুঁটির জোর তার মামাতো ভাই আর্মির ক্যাপ্টেন রিফাত, দ্বিতীয় খুটির জোর তার আঙ্কেল পুলিশের এডিশনাল আইজি দেলোয়ার হোসেন, তৃতীয় খুঁটির জোর আইনি সহায়তা কেন্দ্র আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান শামসুল আলম। পরবর্তীতে প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, নুপুর এবং তার বাবার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে- ধারাবাহিক সিরিজ নিউজ হবে, চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রার প্রিন্ট এন্ড মাল্টিমিডিয়ায়।



