মোরেলগঞ্জ নির্মিত উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
সুইটি সিনহাঃ মোরেলগঞ্জ উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা ভবনে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় বিভিন্ন রকম অনিয়ম দেখা দিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন অনুসন্ধানে তার সত্যতা মিলেছে। দেখা যায় নতুন নির্মান করা ভবনটি বছর না পেরোতেই বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টার ফেটে গেছে রঙ উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গাতে মরিচা পড়ে কালো হয়ে গিয়েছে।
৪ তলা বিশিষ্ট এই ভবন নির্মানে ব্যবহৃত সকল এস এস(স্টেইনলেস স্টিল) এর রেলিং ও গ্রিল গুলো অমসৃন একই সাথে রেলিং এর ক্লিপ ছুটে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে। নিম্ন মানের কাঠ ব্যবহার করে দরজার পাল্লা ও ফ্রেম তৈরির ফলে প্লাস্টার থেকে খুলে গিয়েছে দরজার ফ্রেমগুলো। নিম্নমানের কাঠ দিয়ে দরজার পাল্লা তৈরি করায় দরজার বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়েছে।অন্য দিকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের বোর্ড, সুইচ ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারি জানান ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান টুকুর নামেই এই ভবনের কাজ হয়েছে। ফলে যেনো তেনো ভাবে কাজ শেষ করেই বিল নিয়ে গিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি । অনিয়ম থাকা শর্তেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে বিল বুঝে পেলো এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর এখনো সকলের অজানা। স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে আলাপচারিতা থেকে ভবনটি নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান বিগত সরকারের সময়ে বাগেরহাটের প্রায় অধিকাংশ প্রকল্পগুলো তৈরীর ঠিকাদারী দ্বায়িত্ব পেত আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্ব দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো।বিভিন্ন নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে মোটা টাকার লেনদেন করে মূল ধারা থেকে বেরিয়ে এসে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে নাম মাত্র বাজেটে নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হতো।এই উপজেলা পরিষদ ভবনটিও তেমনি ভাবে নির্মান হয়েছে বলে ধারনা তাদের।
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও চোখে পরেছিলেন কাঠের চশমা। রাজনৈতিক দাপট এর সামনে প্রকৌশলীরা ছিলো অনেকটা কোনঠাসা। একই সাথে কোন কোন কর্মকর্তারাও ছিলো অসৎ,যোগসাজশ করে এর রকম অনিরাপদ ও নিম্নমানের নির্মান সম্পন্ন করেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।এবিষয়ে ভবনটির নির্মান সম্পর্কিত মতামত/বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিক বার মোরেলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান।নানারকম অযুহাত দিয়ে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে চালিয়ে যাচ্ছেন জোর চেষ্টা।একপর্যায়ে নিউজের স্বার্থে সংবাদকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ এর জন্য সময় নির্ধারন করলেও তিনি অযথা কালক্ষেপণ করছেন…….এবিষয়ে এই প্রতিবেদকের আরো তদন্ত চলমান।