পাসপোর্টসহ তিন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ দুর্নীতি
২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এতে বিগত সরকারের সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাওয়া গেছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ গবেষক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টিআইবির খানা জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা (পরিবার) এবং ঘুষের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ খানা; সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুসের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়। সার্বিকভাবে খানাগুলো গড়ে পাঁচ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছে: গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকিং খাতে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেবা পেতে খানা বা পরিবারপ্রতি ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকখাতে।সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতি ও ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুষের শিকার হয়েছে।
২০২৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে প্রাক্কলিত মোট ঘুসের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ১.৪৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জিডিপি’র শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।
টিআইবির খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবাখাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুসের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।