যে ব্যক্তি জনগণের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় আস্থাকে ভঙ্গ করেন তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন।
অনেক দেরি করে ফেলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল। সামরিক শাসন জারি করে তা প্রত্যাহার করলেও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বড় দেরি করে ফেলেছেন তিনি। ততক্ষণে দাইগু এবং বুসান শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নাকডোঙ্গগাং নদী দিয়ে বয়ে গেছে কত পানি তার খবর কেউ রাখেনি। তেমনি প্রেসিডেন্ট হয়তো তার দেশবাসীর পালস বুঝে উঠতে পারেননি। যখন তা ঠাহর করতে পারলেন, পদক্ষেপ নিলেন- তখন দেশ পুরো অস্থির। তার পদত্যাগ অথবা অভিশংসনের দাবিতে উত্তাল। পার্লামেন্টে আজ শনিবার তাকে অভিশংসিত করার প্রস্তাব ভোটে উঠছে। এতে তার নিজের দলের এমপিরাও তার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তার আগে নিজেকে রক্ষা করার জন্য দৃশ্যত কিছুটা ক্ষুব্ধ, হতাশ প্রেসিডেন্ট ইউনকে দেখা গেল জাতীয় টেলিভিশনে। সেখানে তিনি সামরিক আইন জারি ও পরে চাপে পড়ে তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া নিয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন। কিন্তু বেশির ভাগ কোরিয়ান মনে করেন অনেক দেরি করে ফেলেছেন তিনি। তাকে অভিশংসন প্রস্তাব যখন পার্লামেন্টে উঠছে তার আগে ক্ষমা চাইলেও তা যথেষ্ট নয়। নামডায়েমুন মার্কেটে সস্ত্রীক কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন হ্যান জাঙ্গমো (৫৯)। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষমা চাওয়াই এখন যথেষ্ট নয়। তাকে অবশ্যই স্বেচ্ছায় আগে পদত্যাগ করতে হবে, না হয় তাকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে আমি খুবই অযোগ্য বলে মনে করি। যে ব্যক্তি জনগণের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় আস্থাকে ভঙ্গ করেন তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। হ্যান আরও বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট ইউন অব্যাহতভাবে ক্ষমতার রশি ধরে ঝুলে থাকার চেষ্টা করেন তাহলে তা হবে সবচেয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতি।