যশোরের মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ দেবনাথকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার গাংড়া এলাকার মাঠ থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
রমেশ দেবনাথ মনিরামপুর উপজেলার গাংড়া গ্রামের অসীত দেবনাথের ছেলে। তাঁর বড় ভাই পরেশ দেবনাথ অভিযোগ করেন, মাঠে বীজতলা তৈরি করার সময় স্থানীয় কয়েকজন রমেশকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর তাঁকে পুলিশের কাছে দেওয়া হয়।
পরেশ দেবনাথ বলেন, ‘উপজেলার গাংড়া মাঠে আমাদের একটি গভীর নলকূপ (সেচপাম্প) আছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পরের দিন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি সেচপাম্পটি দখল করে নেন। তাঁরা সেচপাম্পের ঘরে আমাদের দেওয়া তালা ভেঙে তাঁদের তালা লাগিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর মনিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, যৌথ বাহিনী ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। অভিযোগের বিষয়টি টের পেয়ে দখলকারীরা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন।’
পরেশ আরও দেবনাথ বলেন, ‘রমেশ গত কয়েক মাস পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল দুপুরে রমেশ গাংড়া মাঠে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ করছিলেন। বেলা দুইটার দিকে সেচযন্ত্র দখলকারীরা রমেশকে মাঠে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা রমেশের মাথায় লাঠি দিয়ে বাড়ি মারেন, গলা টিপে ধরেন। এ সময় রমেশকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আমার বোন মুক্তি দেবনাথ ও কাকা সন্তোষ হালদার। তাঁরা আমার বোন ও কাকাকেও বেধড়ক মারধর করেন। মারধর করার পর ছাত্রলীগ করার অপরাধে হামলাকারীরা পুলিশ ডেকে রমেশকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। পুলিশ রমেশকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ছাত্রলীগ করলেও রমেশের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, রমেশ দেবনাথকে গতকাল দুপুরে আটক করা হয়। যশোর কোতোয়ালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে তাঁকে কোতোয়ালি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।