ভারত বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝলে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হবে মুখোমুখি: গয়েশ্বর
ভারত পার্শ্ববতী সব দেশের সাথে সম্পর্ক হারিয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখন কোন দেশই ভারতের সঙ্গে আপোষ করছে না। ভারতের অবস্থা বাঘ ও শিয়ালের গল্পের মত হয়ে গেছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ শতাংশ। আমরা তো শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা এবং এলসি এসব যদি বন্ধ থাকে, তাহলে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব না। মোদি এবং সোনিয়া গান্ধী সবাই বসে কপাল ঠোকাঠুকি করতে পারবে কিন্তু দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না। তারা ভারতের অর্থনীতিকে ঠেকাতে পারবে না।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে, সাহিত্যিক সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত’) ‘নেতা ও কবি’ বই প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে “বিজয়ের ৫৩ বছর: আমাদের অর্জন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামক কেন্দ্রীয় কমিটি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝে, তাহলে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে মুখোমুখি। আজকে তারা নেপালের, মালদ্বীপ, ভুটানের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। তাদেরকে ভাবতে হবে, দক্ষিণ এশিয়ার ভিতর সব গুলো দেশের সঙ্গে সম্পর্কে হারিয়ে তারা কিভাবে চলবে? কোন দেশেই ভারতের সঙ্গে আপোষ করছে না। ভারতের অবস্থা বাঘ ও শিয়ালের গল্পের মত হয়েগেছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংস্কারের কোন শেষ নেই। কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথা কেউ বলেন না। এখন দুনিয়ার সব পণ্ডিতরা একত্রিত হয়েছে কিন্তু কেউই রাজনীতিবিদ নয়। সব সময় সকল দেশের রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদরাই সমাধান করেন
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য হয় একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, ভোটারদের মতামত প্রকাশের মাধ্যমে। ৬ তারিখের পর থেকে আমি অনেক কথা বলতাম, এখন দেখি আমার দলের লোকজন অনেক কথা বলে। তাই আমি আর বলি না। তবে আবার যখন কোন কিছু দেখবো তখন আবার বলব। তবে সব কিছুরই শেষ আছে, আর যার শেষ ভাল তার সব কিছুই ভাল।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।