রাজশাহী

ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তোফায়েল আহমেদ আজাদ এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর মোছা: ফারজানা হক তার পরিবার পুনরায় মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে

রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহিতে আদালত অবমাননাকারী এডিসি ২/২/২০২৩ইং  সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু মাদক ব্যবসায়ী,নারী পাচারকারী মহিদুল হক ও খালেক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন সমাজসেবক তোফায়েল আহমেদ। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ২৯/১২/২০২২ইং তারিখে নিন্ম তফসিল সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বিবাদী মো: আব্দুল খালেক পিতা মৃত আব্দুল কাদের, মাতা মরহুমা জরিনা বেগম, স্ত্রী শরিফা খাতুন সাং বসুয়া, পো: জিপিও ৬০০০ থানা রাজবাড়ি জেলা রাজশাহী। জাতীয় পরিচয় পত্র নং ১০০৭৬৬১০৬৯৭ এবং অপর বিবাদী আলহাজ্ব মো: মহিদুল হক পিতা মৃত শামছুল হক, মাতা মোসা: জাহেমা খাতুন, সাং গোয়াল পাড়া, বাসা নং ১৪৬, পো: জিপিও ৬০০০ থানা রাজবাড়ি জিলা রাজশাহী উভয় ব্যাক্তিগন ১৬৬০৮/২২ বায়না নামা দলিল সম্পাদন করেন। নিম্ন বর্নিত সম্পত্তির পরিমান ০১৬২৯ একর মোট মুল্য ১, ০৮, ৬০, ০০০/ টাকা  তার মধ্যে বায়না হিসাবে ৪৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। বাকি ৬৩, ৬০, ০০০ তেষট্রি লক্ষ ষাট হাজার টাকা জমি রেজিষ্ট্রি করার সময় পরিশোধ করবে বলে বায়না পত্রে উল্লেখ করে থাকেন।

দলিলে আরো উল্লেখ থাকে ২৯/০৪/২৩ বাং তারিখের মধ্যে যে কোন দিন জমি রেজি: করে বাকি টাকা পরিশোধ করে দিবেন। এমতাবস্থায় ২৯/০১/২৩ইং তারিখে বিশেষ কাজে পবা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে গেলে বিবাদি মো: আব্দুল খালেক, ও মো: মহিদুল বাদি মোসা: ফারজানা হক ও তার স্বামী রেজাউল ইসলামকে ঘিরিয়া ধরে,

এবং উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি উল্লেখ করে একটি দলিলে সহি করবার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এবং একটি দলিল তার মোহরীর নামে জোরপূর্বক সই স্বাক্ষর করে নেয়। বাদী উল্লেখ করেন তিনি স্বাক্ষর দিতে অশ্বিকার করলে বিবাদীগন এবং তাদের দলীয় লোকজন বাদী এবং তার স্বামীকে মারধর করে মুহুরী অফিসে আটকিয়ে রাখে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাদী ফারজানা হকের মেয়ে ও মেয়ের জামাইকেও মারধর করে আটকিয়ে রাখে।

এ বিষয়ে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজধারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৬৬ পি/২৩ রাজপাড়া। উক্ত মামলায় এডিএম আদালত ১/২/২০২৩ইং তারিখে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজপাড়া থানাকে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু এডিসি এডিএম এর আদেশের তোয়াক্কা না করে অর্থলোভে অভিযোগকারী ও তার স্বামী রেজাউল করিম ও সমাজে সম্মানী ব্যাক্তি ও সমাজসেবক তোফায়েল আহমেদ আজাদকে সন্ধা ৮ ঘটিকা থেকে বেআইনিভাবে থানায় আটক রেখে এ মিথ্যা মামলার সুত্রে বাদি মোছা: ফারজানাকে এবং তার স্বামীকে থানায় ডেকে এনে বসিয়ে রেখে হয়রানী ভয়ভীতি দেখিয়ে এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

এবং তোফায়েল আহমেদের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে তোফায়েল আহমেদ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এডিসি। সাদা পোশাকে থাকা এডিসি পরিচয় দিয়ে এসকল অপকর্ম করে বলে জানা যায়। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ন মিথ্যা অভিযোগ করে রাজপাড়া থানায় জি আর নং ৪০/২৩ তারিখ ০২/০২/২০২৩ এবং কাশিয়াডাঙ্গা থানা জি আর নং ২৩/২৩ তাং ০৪/০২/২০২৩ ইং মামলা দায়ের করে। 

এক পর্যায়ে গভীর রাতে আমাকে গ্রেফতারের কথা জানায় এবং পরে জেলে পাঠানোর বাকি কাজ সম্পন্ন করে। অভিযোগকারী ফারজানা তার আবেদনে আরো জানিয়েছেন তিনি হাজতে থাকা অবস্থায় বিবাদিদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তার কন্যা রাজশাহী ডায়াবেটিক এসোসেয়েশন নাসিং কলেজ ২০২১/২০২২ এর নিয়মিত ছাত্রী মোছা: আফরু রায়হানা ইসলাম রিমাকে আরো মিথ্যা মামলায় হয়রানীর ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি দেয় দেখায়।

তারা এক ধরনের জিম্মি অবস্থার সৃষ্টি করে ২০/৬/২০২৩ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় ৫ কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে বাধ্য করে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন বায়না নামায় উল্লেখিত বকেয়া টাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পরিশোধের মিথ্যা কথা বলে পরে সে টাকাটাও আর পরিশোধ করে নাই। এভাবেই তারা প্রতারণা করে টাকা আত্মসাত করে ও মিথ্যা মামলা করে তাদেরকে ফাসিয়েছে।

বিবাদিরা ফারজানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বহাল রেখে এখনো হয়রানী করে চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিবাদিরা জোর পূর্বক হাজতে থাকা অবস্থায় ফারজানা থেকে যে দলিল কৌশলে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে যার নং ৭৮৪৩/২৩ তাং ২/৭/২০২৩ইং সেই দলিলে জমির অবশিষ্ট অংশও লিখে নেয় যা বায়না দলিলে উল্লেখ ছিল না।

অথচ এখন এক প্রকার জোর করেই তা দখল করে আটকে রেখেছে। ফলে ভুক্তভোগী ফারজানা এবং তার পরিবার বিদাদীদের ভয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। বর্তমানে বিবাদিরা ফারজানা ও তার পরিবারকে এক ধরনের জিম্মির মধ্যে রেখেছে এবং বাকি সম্পদগুলোও আত্মসাতের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button