ওসির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে মামলা নেওয়ার অভিযোগ, এসপি স্যার মিডিয়ায় কথা বলতে বারন করেছেন
বরগুনা প্রতিনিধি:জেল হাজতে থাকা ছেলে কামরুলের অপেক্ষায় নির্বাক দৃষ্টিতে পথের দিকে তাকিয়ে আছেন মা সাহিদা বেগম। ঘরে বাজার না থাকায় প্রতিবেশীদের ঘরে খাবার খেয়ে দিন পার করছেন কামরুলের অসুস্থ স্ত্রী চামেলি বেগম। কামরুল পরকিয়া প্রেমিকার দেওয়া ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় জেল হাজতে রয়েছে কামরুল।উৎকোচের বিনিময়ে বরগুনার বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান, কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কামরুলে স্ত্রী চামেলী ও বড় ভাই সাইদুল।পেশায় মটর সাইকেল চালক কামরুল পার্শ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার উত্তর আমড়াগাছিয়া এলাকার সোবাহান শিকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি ২নম্বর বেতাগী ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ এলাকায় জনৈক রফিকের বাসায় ভাড়া থাকেন।গত ১২ জানুয়ারী (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বেতাগী উপজেলার ৩নং হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিন ছোপখালী এলাকার মাতুব্বর বাড়িতে নিজের স্বামীর ঘরেই স্থানীয়দের হাতে আটক হয় কামরুল ও রিমা পরকিয়া যুগল।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বামী রাসেল রাজধানী ঢাকায় থাকার সুবাদে কামরুলের মটরসাইকেলে ভাড়ায় যাতায়াত করতো দুই সন্তানের জননী শারমিন সুলতানা রিমা। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হলে ধীরে ধীরে কামরুল ও রিমা মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।অতঃপর ঘটনার তারিখ স্বামী রাসেল ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে বাড়ি থেকে চলে যায়। এ সুযোগে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে একান্তে সময় কাটাতে স্বামীর ঘরেই প্রেমিক কামরুলকে আমন্ত্রণ জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একটু অন্ধকার হলেই প্রেমিক কামরুলকে লোকচক্ষুর আড়ালে কৌশলে ঘরে তোলে রিমা।বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে অন্ধকারেই ভাতও খাওয়ান প্রেমিক কামরুলকে। দু’পাশের ঘরের মানুষ বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির মুরব্বি আউয়াল মাতুব্বরকে জানান। আউয়াল মাতুব্বর কয়েকজন প্রতিবেশীদের নিয়ে রিমাকে ডেকে দরজা খুলে ঘরের ভিতরে গিয়ে তল্লাশি করেন। এসময় প্রেমিক কামরুলকে ঘরের খাটের নিচে মাটিতে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। এসময় কামরুল ও রিমা তাদের পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি সকলের সামনে স্বীকার করেন। পরে স্থানীয় আরো লোক জড়ো হয়ে কামরুল ও রিমা প্রেমিক যুগলকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলে। এসময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ উপস্থিত হয়ে বেতাগী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে কামরুল ও রিমাকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয়দের বলে আসেন দুই জনকে ই কোর্টে এ চালান করবেন। কিন্তু এরপরই কামরুলের ভাগ্যে বাঁধে বিপত্তি।ওই রাতেই প্রেমিকা রিমাকে ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগে মামলা নিয়ে পরের দিন প্রেমিক কামরুলকে জেল হাজতে পাঠান বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান। বর্তমানে কামরুল জেল হাজতে আছে।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান উর্ধতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ওসি বলেন এস্পি স্যার মিডিয়াতে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। ওসি বলেন এ ভাবে জিজ্ঞেস বা প্রশ্ন বা ভিডিও করার কোন রাইটস নেই।