অপরাধ

রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের ক্যাশিয়ার খ্যাত সহকারী ফয়সালের অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের ক্যাশিয়ার খ্যাত অফিস সহকারী ফয়সাল। যার ইশারায় চলে যত অনিয়ম কৌশলে ঘুষ বাণিজ্য। ফয়সাল রূপগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় সবার কাছে সু-পরিচিত মুখ এবং তার কথায় এই রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসটিতে শেষ কথা। এই সাব রেজিস্ট্রি অফিসটিতে একের পর এক সাব রেজিস্ট্রার বদল হলেও ফয়সাল দেদারছে অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা যায়। এর আগে অফিস সহকারি ফয়সাল রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি  অফিস থেকে অন্যত্রে বদলী হলেও মাস না যেতেই তদবীর করে পুনরায় যোগদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘুষ ছাড়া যেমন কোনো সেবা মেলে না তেমনি ঘুষেই মিলছে অহরহ জাল দলিল। ফলে ঘুষের কারবারেরই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এসব অপকর্মের হোতা হিসেবে অভিযোগের তীর সাব-রেজিস্ট্রারের দিকে হলেও ঘুষ বাণিজ্যের সব কিছু সামলান সহকারি ফয়সাল। সহকারি ফয়সাল এর বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে তার অন্যত্র বদলি অনুমতি এলেও তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তদবির বাণিজ্য করে তিনি বছরের পর বছর রূপগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দাপটের সাথে অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ফযসাল গত বেশ কয়েক বছরে রেজিস্ট্রি অফিসে চাকুরীর সুবাদে রূপগঞ্জ এলাকায় তার স্ত্রীর নামে  বেনামে একাধিক জায়গা জমি সহ বাড়ি গড়ে তুলেছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জমি, প্লট রেজিস্ট্রি করে দিয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই সহকারি ফয়সাল। স্হানীদের ভাষ্যমতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন অফিস সহকারির মাসিক বেতন কত? সহকারি ফয়সাল কি করে প্রাইভেটকার কিনে চড়ে একটা প্রাইভেটকার এর মাসিক ম্যান্টেনেস খরচ সহকারি ফয়সাল কিভাবে সামলায়। এছাড়াও ফয়সালের সহযোগিতায় সাব রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ভূমি কর্মকর্তাদের নাম, সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে ভুয়া কাগজ তৈরি করার পর জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এতে কিছু অসাধু দলিল লেখকও তাকে সহযোগিতা করে থাকেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি ফয়সাল দলিল লেখকদের মাধ্যমে দলিল করতে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে অফিস খরচের নামে মাসে কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এমনটাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক জানান। দলিল লেখকরা জানান, অফিস খরচ ছাড়া একটা ফাইলও সই করে না সাব রেজিস্ট্রার। দিনে কয়টা দলিল রেজিস্ট্রি হয় প্রতিদিন বিকালে প্রতিটা দলিল হিসাব করে সহকারি ফয়সালের নিকট অফিস খরচের নামে টাকা দিতে হয় দলিল লেখকদের বলে জানা যায়। দলিল লেখকরা জানান, এই সহকারি ফয়সাল এর ঘুষ বাণিজ্যের কাছে অসহায় তারা। ফয়সাল টাকা ছাড়া তিনি কিছুই বুঝেন না এবং রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাব- রেজিস্ট্রার পর সহকারি ফয়সাল ই শেষ কথা বলে জানা যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button